অস্থির উতলা মন
উজানের পথে বহমান ;
চলিবে আমরণ ।
বিজনতার দাস গুনিজন
চিন্তিত বেশে উন্মত্ত রহে প্রিয়জন,
ব্যাকুলতা পিছু না ছাড়ি
অন্তপ্রাণ দেয় অচিন পথ পাড়ি ।
আহ্বান দিকে দিকে শুনিতে পাই
চাহিয়া দেখি কেহ নাই ,
অগোছালো ভাবনারা আসিয়া
পিছনপানে ফিরিয়া চায়,
ধরিতে পারি না ; বাঁধিতে পারি না
তবু ভঙ্গুর এ মন গড়িতে কভু চেষ্টা ছাড়ি না।
দূরে ; ঐ পরিচিত মোহনার ধারে
নবদম্পতি স্মৃতি রোমন্থনে কাটায় পূর্বাহ্ণ ,
আমি সন্দিগ্ধ মানসে আজও খুঁজিয়া বেড়াই
প্রাক্তন প্রেমিকের পদচিহ্ন ।
অবসরে দূরদেশে দূরপ্রান্তে,
আমার প্রতিটি প্রহর কাটে নিভৃতে,
নির্জন দ্বীপে ; সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে ।
শত স্মৃতির ভীর,
আমায় করে ব্যাকুল অস্থির ,
চিন্তনে তাহার কথা কর্ণে বাজে,
প্রেমাঞ্জলির পুষ্প পুনরায় মধ্যকরে সাজে ।
প্রণয়ের সমারহে প্রশান্তি ছিল তব ভালোবাসার অবগাহনে ,
তবুও ছাড়িয়া গেলো সে
না জানি কিসের ব্যবধানে ॥
সে নিকটে আসিতে চাহিত,
বলিত; মোর পরশে নাকি
প্রশান্তির গন্ধ পাইত ।
আলিঙ্গনের প্রাক্কালে
স্পর্শে-গন্ধে সে মাতোয়ারা হইত
মাধুর্যতার মোহে ।
সে ক্ষণে ; প্রেমবাক্য মোর
বিশ্রাম নিত নীল কাগজে, আর
কথা কহিত রুপালি বর্নমালার আশ্রয়ে।
সে সব আজ ছিন্নভিন্ন ক্ষতবিক্ষত ,
অক্ষত নাহি কিছু,
বিষাদ নিমগ্ন অন্তরে রোদন
সন্ধানে নিঁখোজ বিভু ।
প্রভাতের দীপ্ত কিরণ
অন্তরে সে কি তীব্র বিরহ বেদন ,
বাহিরে জ্বলন্ত বারুদ ;
চিন্তনে ভাসে তব অপরুপ ।
দেখিতে পাই ,
শুভ্র বসনে আচ্ছাদিত তাহার কলেবর
বীরপুরুষের রুপে মুগ্ধ যখন বিশ্বচরাচর ।
আমি নই আর তাহার আপনজন,
অষ্টাদশীর সে প্রেম কেবলই ছিল প্রহসন,
আর নাহি মোর কোন প্রয়োজন ,
আমি আজ বিরহ পাল্লায় স্থির
তবুও আবেগপ্রবণ ,
আমার অক্ষিকোটরে আজও
ধরা দেয় উত্তাল শ্রাবণ ।
তীব্র বিরহ অনলে
মরিব যবে এ ভুবনে ,
চারিদিকে বাজিবে তাহার
মাদক উল্লাসের সুরধ্বনি,
দাফনকালে কি একবারও ডাকিবে না
বলিয়া “ওগো অভিমানী”।