অকুণ্ঠ গিলতে থাকি; দুনিয়াবি মোহমদ
বেহুশ হয়ে পড়ে থাকি; মানবতার সুরিখানায়
আমার সামনে সাজানো থাকে-
হাঁড় ও করোটিতে বাঁধানো; টেবিল - বাটি - গ্লাস
আর, তাতে ভর্তি থাকে -
নিরীহ ও শ্রমজীবী মানুষের মাংসের কাবাব
সাথে, নিষ্পাপ শিশুদের রিফাইন রক্তের শরবত
আমার নেশাতুর, রক্তবর্ণ চোখ-
তা দেখতে থাকে চরম আক্রোশে
জিহ্বায় লেগে থাকা নোনতা ও পানসে স্বাদ
জ্বালা ধরায় কলব থেকে ব্রহ্মতালু অবধি
অদৃশ্য এক তিক্ততায় মুচড়ে উঠে পেট
অন্ননালী বেয়ে বেরিয়ে আসে-
একদলা বিবমিষা
রক্তমাখা লাশের স্তুপের চেয়ার ছেড়ে
এক ঝটকায় উঠে দাঁড়াই
দৌঁড় লাগাই বাহিরের দিকে
আর, কান পেতে শুনতে থাকি-
পেছন থেকে ভেসে আসা অট্টহাসি ;
ব্যাঙ্গার্থ চিৎকার
আমি থমকে যাই না
ছুটতে থাকি এক নিঃশ্বাসে
এই নশ্বর ও জঞ্জাল পানশালা
পেরোনোর তাগিদে