বহু ক্রোশ হেঁটে গিয়ে
আমি দাঁড়াব-
কোন এক যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরীর
মূল ফটকের সামনে
বোমারু বিমানের আঘাতে
গুড়িয়ে যাওয়া ইমারতের
ধ্বংসস্তুপের উপর বসে-
রোদ পোহাব! আর-
নিঃশ্বাস টেনে নিয়ে -
মেপে নেব বাতাসে বারুদের পরিমাণ!
আগুনে ঝলসে যাওয়া
কালচে গাছের শরীর থেকে -
তুলে নেব লম্বা কার্তুজ
রাস্তায় লেপ্টে থাকা
শুকনো রক্তের কাজল দিয়ে -
লেখব নতুন কবিতা!
নগরীর আকাশে উড়ে বেড়ানো
পাখি ও শকুনের কাছ থেকে-
জেনে নেব যুদ্ধের শেষ সংবাদ
তারপর,
একটা ক্যামেরা হাতে-
গুটিগুটি পায়ে গিয়ে দাঁড়াব
কোন এক উন্মুক্ত রাস্তায়
লেন্সের ফোকাসে তুলে ধরব-
শ্যাওলা ধরা সবজে বাড়ির দেয়াল
ও, তার নিচে নালার উপর-
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা লাশেদের স্তুপ
স্থির দৃষ্টি; তর্জনির ক্ষিণ নড়ন চড়ন
অপেক্ষা মোক্ষম সময়ের
একটি শকুন এসে বসবে
ঠুকরে খেতে থাকবে তার খাবার
আর, ঠিক তখনই-
প্রচন্ড ক্ষিপ্রতায় চেপে ধরবে
শাটার বাটন; আমার আঙুল
আচমকা বিদ্যুৎ চমকে
নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের সুড়ঙ্গ বেয়ে-
উঠে আসবে একটি ছবি।যা-
অবলীলায় বলবে একটি ' চরম উপাখ্যান '