আমি, সাগরতীরের বালি" তুমি মুক্তদানা!
সাগরের উত্তাল ঢেউ, ভাসিয়ে এনেছে তোমাকে,
আমার কাছে।
ঢেউ এখন আর নেই, সে চলে গেছে সাগরের মাঝে,আর মুক্তদানা পড়ে আছে বালির উপরে।
বালিকণা ঝলমল করে, মুক্তদানার আলোয়, নিঃস বালিকণা থমকে উঠে, বথ্যাভরা চিত্তে উপস্থাপন করে তার অপ্রত্যাশিত গল্পগুলো, আর মুক্তদানা নির্বাক তাকিয়ে একমনে শুনে বালিকণার ব্যার্থ সংলাপ।
মুক্তদানাও কেদে কেদে বলে ফেলে তার ভাসতে থাকার গল্প।
বালিকণা চিনে ফেলে মুক্তদানা কে, ব্যাথিত হয় মুক্তদানার দুঃখে, আটকাতে চায় মুক্তদানাকে ভাসতে থাকা থেকে।
মুক্তদানা ক্ষনিকের মধ্যেই দিধা-সংশয় ভুলে আশ্রয় প্রার্থনা করে বালিকণার কাছে।
বালিকণা সেও তো নিঃস, তবুও আগলে রাখতে শুরু করে মুক্তদানা কে।
বালিকণা আর নিজেকে একা মনে করে না, নিজের নিঃসঙ্গতাকে বাজি রেখে জড়িয়ে রাখে মুক্তদানাকে।
মুক্তদানা স্বস্তি বোধ করতে শুরু করে,
সে আর ভাসতে চায় না জলে।
বালিকণা ভালবাসতে শুরু করে মুক্তদানাকে,
যদিও সে জানে ভালবাসার শেষ লাইন।
মুক্তদানা, যদিও সে দামি তবুও সে তো অসহায়।
বালিকণা খুজে পায় তার একাকীত্ব জিবনের অবসান,
মুক্তদানা খুজে পায় তার অবলম্বন।
এভাবেই চলতে থাকে....
ব্যার্থ বালিকণা আর অসহায় মুক্তদানার গল্প।
....... অতপর একদিন......
সাগরের উত্তাল ঢেউ এসে বালিকণার বুক থেকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মুক্তদানা কে।
নিঃস বালিকণা ফিরে পায় তার প্রার্থনার উপহার,
পড়ে থাকে একাই আধারে।।।।