পাঁচটা বেজে আটান্ন মিনিট থমকে গেল সময়
অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে সে মৃত্যুর পথে,
ভালোবেসে হাতটি বাড়াবেনা আর
হয়তোবা সে পারবেনা কোনদিন।
চারদিকে আজ শুধু অন্ধকার, একলা-
পৃথিবীর আলো আর তাকে ছোঁবেনা
সেও পৃথিবীর আলো আর গায়ে মাখবে না
কি নিষ্ঠুর নিয়তি, কি নিষ্ঠুর খেলা বিধাতার।
প্রিয়ার মুখটি আর দেখা হবেনা তার
একটি ভালোবাসার অপমৃত্যু।
সে ভেবেছিলো আজ তার দেখা হবে
এক রাশি গোলাপ কিনে প্রিয়ার হাতে দিবে
তা আর হলো না,সবই বিধাতার খেলা।
সে আরো ভেবেছিলো পাশাপাশি হাঁটবে
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছোঁয়াবে,বাদাম খাবে
প্রিয়ার গোলাপের পাপড়ি ছেঁড়া দেখবে
এক একটি করে পাপড়ি ছেঁড়া দেখবে
তা আর হলো না,সবই বিধাতার খেলা।
একটা কফির মগেতে দুজনের চুমুক দেওয়া
ভালোবেসে পাশে বসা,একটু রাগ,
একটু অভিমান,আর কিছু খুনসুটি
তার আর দেখা হলো না,সবই বিধাতার খেলা।
পড়ন্ত বিকেলে বকুল তলায় বসা
কয়েকটি বকুল ফুল কুড়ানো
পরিচিত দুইটা বাচ্চাকে বাদাম খাওয়ানো
তাদেরকে একটু আদর করা
তার আর হলো না,সবই বিধাতার খেলা।
পাশাপাশি দুজনে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা
জীবনের কিছু রঙ্গিন স্বপ্ন আঁকা
বেলাশেষে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফেরা
তার আর হলো না,সবই বিধাতার খেলা।
সবুজের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া
সরিষে ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটা
আর কিছু প্রিয় মুহূর্ত উপভোগ করা
তার আর হলো না,সবই বিধাতার খেলা।
বেলাশেষে বাড়ি ফেরার সময়
তার কপালে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেওয়া
তার আর হলো না,সবই বিধাতার খেলা।
রচনাকাল-০৮/০২/২০১৭
ফার্মগেট ,ঢাকা , বাংলাদেশ