তোমার অভাব ভীষণ ভাবে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে রোজ,
সকাল থেকে দুপুর,দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা,সন্ধ্যা থেকে রাত
আমার এখন ভীষণ অভাব।

আমার অভাব তোমার ভালোবাসার,তোমার যত্নের,
তোমার মায়াকাড়া ভুবন ভুলানো হাসির
ভীষণ অভাবে ভুগছি আজকাল আমি ।

সকাল গড়িয়ে কখন যে দুপুর হয় টেরই পাই না
তুমি থাকাকালীন সময় সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাত
সবই ঠিক ছিলো,ছিলো ভালোবাসায় ভরপুর।

গভীর রাতে আমার কবিতা লেখার সময়
তোমার হাতের এক কাপ চায়ের অভাব
এত তীব্র ভাবে নাড়া দেয় আজকাল ।

সকাল বেলা, তা হয়তো এগারটা-বারোটা
বাহিরে যাওয়ার সময় পাঞ্জাবীটা হাতে নিয়ে দেখি
বোতামটা খুলে গেছে,তুমি থাকলে কত যত্ন করেই না
বোতামটা লাগিয়ে দিতে।

এই যে আজকাল তোমার ভীষণ অভাব
সেটা আর কয়দিন চলবে?
এই অভাবে আমি আর কয়দিন টিকে থাকতে পারবো সেটাই ভাবছি।

আমার লিখার খাতা, দু-কাপ চা ,সিগারেট,
আর আমার পাশে তুমি কি যে মোহমায়া
সেই মায়ার অভাবে ভুগছি আজকাল ।

কবিতারা তোমাকে সতীন ভাবতো
কিন্তু তাড়াতো জানে না আমার সমস্ত কবিতা তোমায় ঘিরে
তোমার জন্যই তাদের সৃষ্টি।
ভীষণ অভাবে আছি ,তোমার অভাব রুপন্তি।


রচনাকাল-১৭/০৩/২০২১
শুক্রাবাদ ,ঢাকা , বাংলাদেশ