রুপন্তি
তুমি আমার প্রথম ঊষালগ্ন
তুমি আমার পূর্ণিমার চাঁদ
তুমি আমার শীতের বিকেলে
খুনশুটিতে ভরা চায়ের কাপ
তুমি আমার ক্লান্ত দুপুরে
শীতলতম স্পর্শের হাত।
ক্লান্ত আমি ভীষণ চাপে
নয়টা পাঁচটা জীবন কাটে
তোমার সাথে হয়না দেখা
বিষন্নতায় সন্ধ্যা কাটে,
এমনি এক সন্ধ্যা রাতে
হঠাৎ তোমায় দেখার সাধে
গিয়েছিলাম সদর ঘাটে,
হাতে দুটি টিকেট নিয়ে
দাঁড়িয়েছিলে লঞ্চ ঘাটে,
বললে আমার হাতটি চেপে
চল আজ এই জ্যোৎস্না রাতে
হারিয়ে যাই তুমি আমি
কুয়াশা মাখা নদীর মাঝে।
রুপন্তি
এমনি একটি জ্যোৎস্নার রাত
চেয়েছিলাম তোমার কাছে,
কখনো বলিনি তুমি যদি রাগ কর এই ভেবে।
ক্লান্তি সব জেড়ে ফেলে
তোমাকে শালে জড়িয়ে নিয়ে
নদীর বুকে চাঁদ উঠেছে
ঢেউয়ের তালে মন ভরেছে
লঞ্চ চলেছে মেঘ মোহনে।
শতবর্ষ আরাধনা করেও
এমন একটি রাত পাওয়া যাবে
কি না আমার জানা নেই,
তবে আমি পেয়েছি তোমাকে
এই জ্যোৎস্না ভরা পূর্ণিমার রাতে।
নদী, চাঁদ, তুমি, আমি,
শীতের মাঝে বিলীন সবি
তোমার কোলে মাথা রেখে
তারা গুনি হেসে হেসে,
দুনিয়ার সব সুখ আজ আমার মনে ।
রচনাকাল-৬/১২/২০২০
শুক্রাবাদ ,ঢাকা , বাংলাদেশ