তোমাকে দেখা হয়নি বহুকাল ধরেই,
শেষবার যখন দেখা হয়েছি পূর্ণিমার আলোতে অপ্সরা লাগ ছিলো,
রিকশা থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে চলে গেলে বাসার দিকে।
অপলক তাকিয়ে আমি, মনের অবস্থা কি ছিল আমার নিজেরই মনে নেই,
অপলক তাকিয়ে ছিলাম দৃষ্টি সীমানা পর্যন্ত। একবার ও তাকাও নি তুমি পিছন ফিরে।
রিকশা ওয়ালার ডাকে হুঁশ ফিরল।
কি এক ব্যাথাতোর মনে তাকিয়েছিলাম ভাবতে এখনো চোখে জ্বল চলে আসে।
বিদায় শব্দটা একেকজন এর কাছে একেক রকম,
আমার কাছে বিদায় মানে নিঃশব্দে চলে যাওয়াই মনে হল,
তুমি কি চোখের জ্বল আড়াল করতেই পিছন ফিরে তাকাওনি,
এটাই ভাবাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
কিছু বিদায়, বিদায় মানে মন ভাংগা,
বিদায় মানে না পাওয়া, বিদায় মানে নতুন কিছু,
পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুন জীবন সন্ধানে
একগুচ্ছ গোলাপ কে আলিঙ্গন, নাকি নিঃশব্দে চোখের জ্বল।
সেই চলে যাওয়া পরে সুখের সন্ধানে
কতকাল কত মহাকালের গহ্বরে তলিয়ে গিয়েছি,
কতবার এলোমেলো আমাকে ঠিক করার বৃথা চেষ্টা উপভোগ করেছি,
আমার সৃষ্টিকর্তাই জানে।
কার্জনের সেই লাল দেয়াল, করিডোর, কাঠগোলাপ,
শহিদুল্লাহ হলের পুকুর পাড়, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের ক্লান্ত বিকেল,
তোমার কোলে মাথা রেখে চাঁদ দেখা,
নরম ঘাসের বুকে শিশির বিন্দু,
আমাদের অস্তিত্বকে এখনো মিস করে।
টিএসসির চায়ের কাপের টুংটাং, রিকশা ক্রিং ক্রিং শব্দ,
গাড়ির হর্ন, একটি বৃষ্টি স্নাত সন্ধ্যা খুব মিস করি আজকাল।
চাইলেই আজ হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছোঁয়া যায় না।
আমার না পাওয়া সুখ দুঃখের গল্প লিখতে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে গভীর রাতে হাঁটি পাশাপাশি অচেনা কোন পথে,
ইচ্ছে করে শ্যাডোতে বসে আইসক্রিম ভাগাভাগি করি,
ইচ্ছে গুলো ইচ্ছে হয়ে ঘুমিয়ে পড়ুক আমার কোলে।
আমাদের এখন দূরত্ব কত, কত ক্রোশ,
কত আলোক বর্ষ, কত অজানা পথ,
যে পথে একাই লড়ছি কি আমি?
তোমাতে আমার দু:খ নেই,
তুমি আমার না পাওয়া সুখ,
তুমি আমার চাঁদের হাট, জোনাকির আলো,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির শব্দ, মৃদু হিমেল হাওয়া,
চারুকলার বকুলের গন্ধ,
রাশি রাশি ভালোবাসা, স্নিগ্ধ বিকেল,
কোকিলের বসন্ত ওলট পালট
জীবনের খাতা।