এক অদ্ভুত মহানিশা, চারদিক্ স্তব্ধ,
ঘড়ির কাটা টা ঘুরছে আপন কক্ষ পথে।
ইলেকট্রিক-এর লাল ইন্ডিকেটরের মত
টিপ টিপ করে জ্বলছে বুকের কোনটাতে।
জোর বাতাস বইছে বাইরে; কাঁপছে
ঝুল বারান্দায় নুয়ে পড়া
গোলাপের ঘুমন্ত পাপড়ি গুলো।
বকুল গাছটাকে চেপে ধরেছে এক ঝাঁক কুয়াশা,
জল হয়ে ঝরছে তার ব্যথা-নিরাশা।
হাসনাহেনা ফুটেছে কি দু-একটা?
চিলেকোঠায়, তার সেই চিরচেনা রূপে?
নাকি! দেয়ালের অলস টিকটিকি'র মত
সে ও হয়ে উঠেছে শিকারি?
পাল্টে নিয়েছে আপন রঙটাকে?
ততক্ষণে স্টেশনে পৌঁছে গেছে
সর্বশেষ মালগাড়ি টা।
দীর্ঘ তার হুইসেল মিলে যায় বাতাসে-
আমি মিলেছি তৈল চট চটে বালিশে।
ঠিক যেন মহাকাল; মহাকাব্যের ভাঁজে
মহা কোন সমীকরণ মিশে আছে তাতে,
যার সমাধান কেবল মহাকবির হাতে।
বড় অদ্ভুত লাগে নিজের কাছে,
কাকে চাও তুমি? আমিই বা কে?
ছুটছে কে কার পিছে?
জীবনটা এক হাওয়াবদল, সকাল-দুপুর-সাঁঝে,
কার হৃদয়ের বীণার তারে, কার’ই বা সুর বাজে!
কার দু চোখের পুকুর জুড়ে জলকেলি কে করে?
কারও হাসিতে মুক্তা ঝরে, কারও বা জল পড়ে।
সত্যি কি সে চাইছে মোরে, চাইছি আমি যারে?
আপন করে চাইছ যারে, চাইছে সে’ই বা কারে?