উড়নচণ্ডী, ভবঘুরে এক মাতাল আমি
যেথাচ্ছা ঘুরি, যা খুশি করি, চলতি পথে হঠাৎ থামি।
আমি হাঁটি অবিরত, কড়া রোদে শরীর পোড়ে-
ঘামের সাদা দাগ ফুটে ওঠে জামার উপর দিয়ে-
কুঁচ্কে যাওয়া শার্টের জং পড়া কলার টা
মানিয়ে যায় রোদে পোড়া গলার সাথে।
তপ্ত বালিতে পায়ের চামড়া পোড়ে-
পোড়ে পিচ ঢালা ব্যস্ত সড়ক।
চায়ের কাপে ঠোঁট পোড়ে ছোট শিশুর,
বখাটে র ঠোঁটে কালো সিগারেট পোড়ে।
তড়িৎ-তারে কপাল পোড়ে কাকের-
কালো বারুদের মত সশব্দে ফেটে পড়ে মাটিতে।
তার ঠিক পাশেই খই ভাজার মত বালিতে
স্ফীত জিহ্বায় ধুঁকছে দুটি অসহায় কুকুর।
পিচুটি চোখে গড়িয়ে পড়া জল
যেন কিছু বলতে চাইছে।
পাশে তাকাতে ই চোখে পড়ল
আধ-খাওয়া একটি আইসক্রিম
ক্রমেই মিশছে মাটিতে-
কাঠিটাই পড়ে থাকার উপক্রম।
এগিয়ে গেলাম ভাঙ্গা মন্দিরের পাশ দিয়ে।
কিসের যেন গন্ধ আসছে নাকে-
পুড়ছে তবে কিছু!
আমি থমকে দাঁড়াই,
চিৎকার করে বলতে চাই-
ছেড়ে দে আমার মা’ কে, আমার সম্মান, আমার স্বপ্নকে।
ওরা শোনেনি কোন কথা,
ওরা বোঝেনা আসিফা’দের ব্যথা-
ওরা কুলাঙ্গার, পশুত্বকেও হার মানায়-ওরা জঞ্জাল।
পুড়বে কবে এসব বর্জ্য? বিবেকটা আজ কঙ্কাল।