বছর চারেক আগে তোমাকে দেখেছিলাম
শেষ বারের মতো।
তারপর কেটে গেছে অনেকটা সময়।
জীবনের রাস্তা তে দেখেছি অনেক প্রজাপতি,
তোমার মত পতি তারা কেউ নয়।
তারা শকুন-তারা মনের খবর রাখে না,
গিলতে জানে কেবলই মাংস-
দেহ ছাড়া কিছু বোঝে না।
বড় দেখতে ইচ্ছে করছে তোমায়,
জানতে ইচ্ছে করছে তুমি কেমন আছো-
সবকিছু একই আছে আগের মতন?
মাটির ঘরে উঁকি দেয় আজও স্বপন?
একই অনুভূতি আছে আমার প্রতি?
নাকি অন্ধকারে অনুভূতিও আজ ঝাপসা?
নীল পদ্ম টি আছে আজও নীল?
নাকি ধূসর হয়েছে তার আস্তরণ?
অনেক কেঁদেছি তুমি মরলে-
তোমার স্পর্শ গুলো আমাকে ঘুমতে দিত না।
তোমার নীল শার্ট টা ভিজিয়েছি কত রাতে-
সেটা কেবল কালো রাত টা'ই জানে।
আস্তে আস্তে ধুলো জমেছে স্মৃতিতে,
নতুন করে বাঁচতে চেয়েছি যতবার,
তত বারই হেরে গেছি তোমার ছায়াতলে।
অহেতুক রাত জেগে বসে থাকি না এখন,
চোখের নিচে লবণও জমে না আর।
ফেরাতে পারিনি তোমায় মৃত্যুর বুক থেকে,
ঘর বাধিনি তোমার স্মৃতি রেখে।
কেমন আছো ওপারে ওগো!!!
আমাকে নেবে না তোমার সাথে?
যান্ত্রিক বর্জ্যে ছেয়ে গেছে চারপাশ,
হুহু করে কেঁদে ওঠে ব্যথার আকাশ।
জানো প্রিয়? আজ বৈশাখের জন্মদিন!
সবাই সেজেছে কত রঙ-এ আর ফুলে;
লাল শাড়ি আর কাচের চুড়ি তে।
একলা ঘরে আমি তোমাকেই ভাবছি,
গাঢ় লিপস্টিক পরেছি ঠোঁটে।
আমাকে নিয়ে যাবে ঘুরতে?
তোমার মাটির ঘরে, ওপারের বৈশাখে?
কিনে দেবে বাতাসা আর মাটির ঘট?
তাকাবে আমার চোখে-মৃদু অবহেলায়?
মুখোমুখি বসবে দুজন নাগর দোলায়?