সকল ঝুঁকি দিচ্ছে উঁকি, ক্রুদ্ধ আমার সকল ঝোঁক,
আমার হৃদয় জাহান্নামে, আমার দেহের মৃত্যু হোক-
এই ধারণায় দিন কেটে যায়, রুদ্ধ যেন সকল পথ।
করোটিকার বক্ররেখায় ফাটল ধরা ক্ষিপ্ত ক্রোধ।
চোখের পানি শুকিয়ে গেছে, ঝরছে মাথার খর্ব কেশ,
ইচ্ছে করে এপার ছেড়ে যাই হয়ে আজ নিরুদ্দেশ।
ভয়ের স্রোতে সাহস পালায়, জীবন যেন তুচ্ছ খুব,
হাড় ভেঙে যায় ক্ষুদ্র গুঁতোয়, তুচ্ছ হৃদয় হঠাৎ চুপ।
চারিপাশে শত্রু সবাই, অস্ত্র হাতে দৈত্য দল,
ত্রাসের রাজ্য কায়েম করতে ছুটছে তারা অনর্গল।
হতাহতের দৃশ্যগুলো পড়ছে মনে বারংবার,
আক্রমণের আশঙ্কাতে মধ্যরাতে ঘুম সাবাড়।
দুর্ঘটনার নৃশংসতা রাস্তাঘাটে দৃশ্যমান,
ঘরের ভেতর বাড়ছে এ প্রাণ, বাইরে জীবন সন্দিহান।
চোখের তলায় দাগ পড়ে যায়, উদ্বেগে সব কাটছে রাত,
নেতিবাচক দিকগুলো সব করছে মনে দৃষ্টিপাত।
ও পথ ধরে যাব না আর, যাব না আর সেই সময়,
যেতে যদি হবেই তবে জীবন হবে অবক্ষয়।
ঐ পথের ঐ বাসিন্দাদের সামনে হতে সরিয়ে দাও,
সব যেন আজ যুগলবন্দী, অবিশ্বস্ত বন্ধুরাও।
খুব সহসাই আতঙ্কিত, বিচলিত হচ্ছি হায়,
ঘাড় চিবিয়ে খায় জোনাকি, দুর্বিপাকে জীবন যায়।
মানুষগুলো পাষণ্ড খুব, দানব হতেও নৃশংস,
জীবন যে আজ প্রমথিত- এই কবিতার সারাংশ।
স্নায়ুর চাপে শরীর কাপে, ডাকছে হীনমন্যতা,
জীবন থেকে হারায় যে সুখ, সবচেয়ে বড় দৈন্য তা।
ধ্বংস হবার জীবদ্দশায় হোক মরণের নিঃসরণ,
বুকের ভেতর যুদ্ধ চলে, এসব কিছুই সঙ্গোপন।
ভয় পেও না আলোর পথিক, তুমি হেথায় একলা নও,
তোমার পাশে আছি আমি, শক্ত করে হাতটা লও।