ধরা যাক, কোন এক উদাস বিকেলে
আকাশের মাঝে কালো মেঘ জমে এলে,
চলতে চলতে দেখা কোন ভুল পথে।
বিষাক্ত নগরীর ভুল জনস্রোতে
মৃদুমন্দ হাওয়া সদা বইছে চারিপাশে,
উড়ে যায় এলোকেশ মৃদু অবকাশে।
অমানিশা ঘিরে ধরে ছোট্ট অবনীরে,
বারিধারা এলো বলে সময়ের তীরে।
তরুলতা নেচে উঠে পবনের গানে,
চারিপাশে নীরবতা ভ্রষ্ট অভিধানে।
হঠাৎ সময় যেন থামে পৃথিবীতে,
ভীড় নেই, তাড়া নেই সেই সরণিতে।
অবাধ বাক্য ব্যয় ঘটবে কি তবে?
অব্যক্ত এত ক্ষত আর কত রবে?
প্রবোধের বেশ ধরে যদি বল কথা,
মনে হবে আমি কোন অভিজ্ঞ শ্রোতা।
কিংবা তোমার গলা ভারী হয়ে এলে,
কোবিদের মত কথা বলি অবহেলে।
মনে হবে আমি বুঝি শুধরে গেছি তবে।
চশমার নব ফ্রেমে চোখ গেল কবে?
নতুন চশমাতেও চোখ একই থাকে,
নতুন মোড়কে চিঠি আজও একই লাগে।
জীবন যেরূপে যেথা- চোখ নাহি জানে,
বিভক্ত ক্ষত চাপা নষ্ট মরূদ্যানে।
ব্যর্থতা চেপে যাবে স্নিগ্ধ অভিনয়ে,
ঈর্ষা বুঝি দেখা দিবে মৌন পরাজয়ে?
অবসাদে আত্মগ্লানি বাজিয়ে যাবে তান,
আমার মুখেতে হাসি তথাপি দৃশ্যমান।
শুনে যাব কবেকার কোন কোলাহলে,
প্রতিযোগ প্রাচুর্যে হারালে মিছিলে।
শুনে যাব জীবনের নতুন মোড়কে
অভিলাষ নিয়ে গেছো কোন সে সড়কে।
আমার ঠোঁটেতে নাহি উচ্চারিত হবে,
বিচ্ছিন্ন গ্লানি যাহা দগ্ধ অনুভবে।
সহসা বিকেল বাদে সন্ধ্যা নেমে যাবে,
বারিধারা থেমে গেলে যাত্রী ছাড়া পাবে।
ভিন্ন পথের সূত্র ধরে বিদায় নিয়ে নিলে,
উদাসীন আমি ভেসে যাব অবহেলে।
পবনের স্রোত এসে নাচবে এলোকেশে,
অগোছালো এ জীবনে এমনি যাব হেসে।
কিংবা কোথাও থেমে ভাববো সঙ্গোপনে,
কোথায় যাচ্ছি আমি ব্যাপ্ত সমীরণে?
ধরা যাক, সেদিনের উদাস বিকেলে,
জীবন যেভাবে যেথা, সেথা এসে মিলে।