অনন্যা, দীঘল কেশে তোমায় আমি দেখেছিলাম শরতের রাতে...
পুকুরঘাটের জল ছুঁয়েছিল তোমার পুরো কায়া..
জোছনার আলো দ্যুতি ছড়াচ্ছিলো পুরো আকাশ জুড়ে...
উদাসী বায়ু এনেছিলো এক হিম শীতল অনুভূতি...
সেদিনের পর হতে আমার এ দুটি নয়ন যখন তখন সে দৃশ্য দেখবার বায়না ধরে...
অনন্যা, তুমিই বলো, চাইলেই কি প্রকৃতিকে মানানো যায়..?
যখন যা চাই তখনই তা চোখের সামনে এনে দিবে?
যখন যা ইচ্ছে করতে মন চাইবে বললেই করে দিবে?
তোমার দীর্ঘ কেশ, জোছনার জলে জলস্নাত, কিংবা হিমেল হাওয়া...এমুহূর্তে
এসব আমি কোথায় পাবো? তা এ চোখ দুটিকে কে বুঝাবে?
আমি বলি কি.. তুমি যদি এসে এ চোখ দুটিকে বুঝিয়ে যেতে, তবে আমার এতো কষ্ট করতে হয় না..
প্রকৃতিরও যখন তখন এমন রূপ পরিবর্তন করতে হয় না ...
এ কি? তুমি যে ফিরতে চাইছো না?
আচ্ছা সত্যি করে বলোতো? তুমি কার অনন্যা?
আমার নাকি প্রকৃতির?