এভাবে আর কতদিন চলবে?
-কিভাবে?
-এই যে সেই কবে একটা কবিতা লিখেছিলে আর যে লিখছো না?
এমন ভাবে চলতে থাকলে কিন্তু কবির খাতা থেকে নামটা হঠাৎ করেই মুছে যাবে,,,
-রাইটার্স ব্লক চলছে যে
-রাইটার্স ব্লক নাকি ছাই, মনে হচ্ছে একদম কোমায় চলে গিয়েছো...
- তো? মানুষকে কখনো কোমার থেকে ফিরে আসতে দেখোনি?
- হুম তা আসে তো..
- আসলে আমার অন্যকিছু করতে ইচ্ছে করছে একটু অন্যরকম
-অন্যরকম আবার কি?
-এই ধরো একটা বদ্ধ অন্ধকার ঘরে অল্প মৃদু আলোয় আমি আর যাস্ট একটা ক্যামেরা ব্যস
-এরপর?
-এরপর আর কি , যা এতোদিন বলতে পারিনি তা নির্দ্বিধায় বলে দেবো, আর যা খুব চাপিয়ে বিভিন্ন রূপকে কবিতাতে ওকে বোঝাতে চেয়েও ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি সব বলে দেবো
- ঠিক কি বোঝাতে চাও যা এতো কবিতার ভেতরও বলতে পারোনি?
- ও আসলে খুব সরল, এতো জটিল কবিতার অর্থ ও বুঝতে পারে না...
- তো এখন কি কোনো সলিউশন পেলে?
- হুম, এই ধরো কোনো কবিতায় নয়, কোনো চিঠিতে নয়, মুঠোবার্তায় নয়, একদিন হুট করে দেখা করবার কথা না বলেই খুব সকালে ওর বাড়ির দরজায় কড়া নেরে চোখে চোখ রেখে বলে দেয়া সরাসরি বলে দেয়া ভালোবাসি, ভালোবাসি ভালোবাসি
- ও কি বুঝবে? অর্থাৎ বুঝলেও কি মানবে?
- মানুক চাই না মানুক আমি খুব শান্তি পাবো অন্তত না বলতে পারার আক্ষেপ টা রইবে না..
জানিসই তো আমার জীবন অর্ধেক কেটেছে ওকে একতরফা ভালোবসে আর বকি অর্ধেক কাটছে সেই একতরফা ভালোবাসা নিয়ে কবিতা লিখতে লিখেতে, আমি আসলে ও পড়বে বলে কবিতাই লিখি নি লিখেছি নিজের জন্য, অনেকটা নিজেকে ভালো রাখবার জন্য.. আমার কাছে কবিতাগুলোককে উপন্যাসের মতোন লাগে, গল্পের মতোন লাগে , যখন কবিতা পড়ি তখন “কবিতার আমি আর ও” চোখের সামনে ছোটাছুটি করে.. মনে হয় এই বুঝি ঠিক তাই ঘটছে.. আমি ওর কোনো ঠিকঠাক দোষ খূজে পাই না , ওর দোষ কিংবা ভুল একটাই যে ও আমায় কখনো ভালোই বাসেনি .. আর এই আক্ষেপটুকুই আমায় হয়তো কবিতা লিখা শিখিয়েছে , শিখিয়েছে কিভাবে একা একা ভালোবাসাতে হয়, ভালোথাকতে হয়, ও চলে যাওয়ার পর খুব করে খুজেছিলাম কাউকে খুজে পাইনি..আমি জানি ওর মতোন করে কাউকেই আর ভালোবাসা হবে না.. তাই কবিতাকেই শেষমেষ ভালোবাসালাম, কবিতাকে ভালোবাসবার একটা অন্যতম সুবিধা হলো ও কখনো ওর মতোন অভিমান করে হারিয়ে যায়না.. যতটুকু হারায় ডাকলেই আবার ফিরে আসে...