চোখের কোণে তন্দ্রা ভাবের চিহ্ন পরিলক্ষিত।
হঠাৎ এক আর্তনাদ চিৎকার!
দূরীভূত করিল নেত্রকোনের তন্দ্রা ভাব।
কি জানি হার মানিয়েছে,
নিশির শন শন নিস্তব্ধতাকে।
এক দৌড়ে গিয়ে দাঁড়ালাম ওই রাস্তার পাশে।
মোর টগবগে রক্ত যেন মুহূর্তেই শীতল হলো!
অগ্নিদগ্ধ এক বাস হতে এক যন্ত্রণা ভরা চিৎকার।
শত শত মানুষের দিলে যেন,
আর্তনাদ হা হা কার।
কেহ আবার চেয়ে নিতে চায় সৃষ্টিকর্তার কৃপা,
হঠাৎ এক পুষ্প তুল্য নিষ্পাপের মা বলিয়া ডাক
সঙ্গে সঙ্গে মোর নেত্র কোণের
অশ্রু হলো এক অঝোর প্রপাত।
এই উত্তাপ যেন সিন্ধু তীরের বৃহৎ প্রভঞ্জন।
স্বাধীনতা আজ স্তম্ভের মত দাঁড়িয়ে।
স্বাধীনতা আজ কেন
তুলাদণ্ডের নিম্নের হাতের মুঠোয়?
আজ কেন স্বাধীনতা কলূষিতর হস্ত ধূলো?
যদিও হাজারো জন পথ দেখাচ্ছে ,
ওই স্বাধীনতার আলোর।
তবুও ছিন্ন করিতে পারে
এক সুসজ্জিত তাসের ঘরকে,
উদধির এক ক্ষুদ্র অজানা মহাতরঙ্গ।
মহাতরঙ্গ ঐ কলুষিতের পশু তুল্য স্বভাবের ন্যায়।
আজ কেন পথিকের বক্ষ অজানা ত্রাসে নিমজ্জিত?
এই ব্যথার তরেই কি ?
আবীর ঢালিতে হয়েছিল একাত্তুরে।
তবে কি তারা ব্যর্থ?
যাহারা আবীর ঢালিয়াছিল একাত্তুরে।
স্বাধীনতা কেন আজ স্তম্ভের মত দাঁড়িয়ে?