রক্তাক্ত হৃদয় ছিনিয়ে নিল!
কত মাতৃ হৃদ্য করিল ক্ষীণ।
সে কোটর প্রান্তে ছিল কত ভালোবাসা;
ছিল মায়া, ক্ষোভ, মমতার আলো।
হ্যাঁ, কত আশার দীপ্তি ছিল জাজ্বল্যমান।
কে জানিতো ক্ষণে ক্ষণে নিষ্প্রভ হয়ে,
হৃদয় জ্যোতিতে ধরিবে অবক্ষয়?
কে জানিতো,
টুটে টুকরো হবে তার চীর চেনা ছন্দ-লয়?
যে অঙ্কুরিত বীজের মন্ডলে রচিত,
গম্ভীরা, বাওয়ালি, জারি,সারি যত শত।
যাহাদের তুলির নরম ছোঁয়ায় অঙ্কিত ছিল,
এই বাংলার মধুমাখা রূপখানি উৎনত।
যারা ছিল মুমূর্ষু দেশের শুশ্রুষার হাতিয়ার।
তাহাদের মস্তক ছিল জনমভূমির তরে নত;
পেন্ডুলামের মত দদুল্যমান সাম্রাজ্যকে ছিল,
সোপান তল হতে গগনে স্থাপনের অমৃত শপথ।
এসেছিল দেখাতে গোধূলি লগ্ন হতে,
ভোরের শীষে জমে থাকা শিশিরের ফোঁটা।
এসেছিল জোড়া দিতে কালবৈশাখীর ঝড়ে,
ছিড়ে পড়ে যাওয়া রক্ত গোলাপের সজীব বোঁটা।
শুধু নত ছিল না স্বৈরাচার, শোষণ,নিপীড়নের প্রতি।
নত ছিল না স্বদেশ বৈরী স্বাপদসংকুলের প্রতি।
নত ছিল না জালিম দোসরের জুলুম ফণীর প্রতি।
এ নিমিত্তে,
রক্তাক্ত হৃদয় ছিনিয়ে নিল,
কত মাতৃ হৃদ্য করিল ক্ষীণ।