আমি ভয়ংকর অভাব দেখেছি।
আমি চরম নিষ্ঠুরতা দেখেছি।
আমি ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখেছি।
তবুও আমি কোন এক রমণীর
নিঃশ্বার্থ ভালবাসায় সিক্ত হয়েছি।

যাকে আমি কখনো ছুঁয়ে দেখি নাই
তাকে আমি সারাক্ষণ অনুভবে পাই।
সে রয়েছে মোর চিন্তা-চেতনায় মায়া-মমতায়
আষ্টেপৃষ্টে জড়ায়ে আছে আমার সমস্ত সত্তায়।

সেই ভালবাসায় ছিলোনা কোন কামনা-বাসনা
ছিলোনা কোন লোভ লালসার অস্তিত্ব বিদ্যমান।
ছিলো শুধুই পরস্পরের প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা, সম্মান
সেই ভালবাসার কোনদিনও হবেনা অবসান।

কথায় আছে অভাব যদি কড়া নাড়ে দরজায়
ভালবাসা তখন নাকি জানালা দিয়ে পালায়?
আসলে যে ভালবাসাতে জানে সে কখনো পালায় না।
শত দুঃখে-কষ্টে নিদারুন অভাব অনাটনে
সে ছেড়ে যায়না বরং আকড়ে ধরে আপন মনে।
সে শুধুই ভালবেসে যায় আমিত্বকাল থাকে পাশে
আর নিঃশ্বার্থভাবে ভালবাসে শুধুই ভালবাসে।

পালায় তো সে যিনি স্বাঃর্থপর, বেইমান
তিনি শুধু মনোরঞ্জনের জন্যই ভালবাসে।
নিজের স্বাঃর্থ সিদ্ধি করার লক্ষে কাছে আসে
প্রয়োজন ফুরালে বদনাম ছড়ায় আশেপাশে।

আসলে নারীর ভালবাসাই হচ্ছে নিঃশ্বার্থ ভালবাসা
সেই ভালবাসার কাছে সবকিছুই তুচ্ছ মনে হয়।
সত্যি বলছি নারী যেভাবে ভালবাসতে জানে
হয়তো পুরুষ সেভাবে ভালবাসতে জানেনা।
নারীকে সেভাবে ভালোবাসতে হলে
পুরুষকে সাত-সাতবার জন্ম নিতে হয়।