আঘাত দিয়েছি আঘাত সয়েছি সকল কীর্তিই তোমার
ঘাত-প্রতিঘাতে শ্রান্ত প্রভু মুক্তি চাই এবার।
ভুলেছি তারে ভুলতে চেয়েছি সকলি রয়েছে জমা
ভার-যাতনায় ডুবেছি প্রভু দাওনা এবার ক্ষমা।
নিশুতি রাতে কেঁদেছি যখন দ্বীপান্তরে বসে
তোমারি ছায়া বলেছে প্রভু আয়রে বৎস্য কাছে!
রাতের নেশা কাটিয়ে যখন পৌঁছালুম সুর্যালোকে
মানুষ দেখেনি কাউকে প্রভু শোভিত ভবেরহাটে।
ঘর ছেড়েছি ঘর ভেঙেছি গড়তে চেয়েছি ঘর
স্বপ্ন দেখেছি আপন খুঁজেছি করলো সবাই পর।
দেখবো বলে দেখাবো বলে ভেঙেছি শুধু পথ
অগ্নিগোলকে পুড়েছি প্রভু সন্ধান পায়নি রথ।
সম্পর্ক যখন বাণিজ্য হয়ে ধরেছে অর্থনীতির পথ
অনুভুতিরা সব খুন হয়েছে যন্ত্রমানব সব।
বেলা শেষে ক্লান্তি ঘিরে গুহায় ফিরি যখন
ভ্রান্তিরা সব স্নায়ু জুড়ে কল্কিতে দেয় দম।
কাম-জ্বরে কুইনাইন দিয়ে ভুলিয়ে দিলাম যখন
অন্তর জুড়ে উঠলো প্রভু ঘূর্ণিবায়ুর ঝড়।
বাস্তবতা প্রসব করে প্রভু গদ্য আর গদ্যময়
যাতনায় আশ্রয় দেয়গো পদ্যের আঁচলতল।
অন্ধকারে মুখোশ খুলে নিস্পাপ হই যখন
নিজের কাছে নিজের আত্মা বিবাদি হয় তখন
মোকদ্দমার কাঠগড়ায় দৃষ্টি হানে বিবেকরূপী মন।
হারাতে গিয়ে হার মেনেছি স্তুপ হয়ে থাকি
সারারাত্রি, নিশুতি রাতে ভেবেছি শেষ প্রহর
নিও না প্রভু, দিওনা প্রভু! নতুন কিছু বাকী।
চন্দ্রিমাদেবীর শুক্লপক্ষ শুধু ছুঁয়ে দেয় আমায়
ধরা দেয়না কেন?
একী আমার জন্মান্তরের পাপ!
দোয়া চাই, দয়া চাই, ক্ষমো মোরে প্রভু!
গৃহী করো শান্ত করো বিনীত করো বিবেক।
..................সৈয়দ মামুনূর রশীদ