জন্ম মৃত্যু আর বিয়ের কড়ি খেলায়
অদৃষ্টের আলোছায়া সাজিয়েছে জীবনপদ্য
ত্রি-প্রান্তের তিন জুয়ায় মত্ত প্রভু
দম দেয়্ সৃজনশীল কলকির গোড়ায়।

আর আমি!
ব্যর্থ প্রসবকাতরতায় ভুলুন্ঠিত এক
চাল-চুলাহারা সম্বলহীন প্রসুতি কবি
হেঁটে চলেছি অতীতের পথে, তারও অতীত।

আর প্রভু!
মাটি আর পানি যেদিন এক হয় প্রথম
সেদিনই তিনি আবিস্কার করেন প্রজনণাস্ত্র
বারুদের সাথে পাথর মিশিয়ে তৈরী হলো মানব।
আরশ্ ভেঙ্গে ধোঁয়া আর ধোঁয়ায় ভরে যায় প্রান্তর।

তারপর আবারও আমি!
সৃষ্টির পর থেকেই ভাসছি অক্রিজেন হয়ে
আর রূপান্তরের খেলায় বাপান্তরের প্রতীক্ষা করেছি।
যুগ গড়িয়ে যায় মর্বেলের মতো, পাহাড় হয় সাগর মানুষ বিবর্তন হয়ে অমানুষ আর অমানুষ হয় মানুষ,
তাবৎ সৃষ্টি জুড়ে একই খেলা, একটি মাত্র খেলা ভাঙা-গড়া।

প্রভু সহায়।
জন্মেরও আগে পৃথিবীর আলো যখন দেখিনি
মাতৃজরায়ুর কুরুক্ষেত্রেই নিয়েছি প্রথম যুদ্ধের পাঠ
মানবগোষ্ঠির হত্যা লুন্ঠনের প্রথম পাঠও সেখানে।
অগনিত বীজানু হত্যার অপ্রতিরোধ্য নেশায়
বিজিত বেশে নিতে হয়েছে আমার অবস্থান।


অদ্ভুদ অন্ধকারাছন্নতা হায়!
ক্ষুদিপানার মতো ঘুরে ফিরছি
আলো নেই, কোলাহল নেই কোথাও
আছে শুধু মায়ের রক্ত-অস্থি ছেঁড়া খাদ্যকণা।

হায় সুবেহ্ সাদেক!
জন্ম নিয়ন্ত্রণের সকল বিপত্তি উপড়ে
পা বাড়িয়েছি যেদিন
বেদনায় বিছানা ছিঁড়েছিল মা
তারপর আল্লাহু আকবর ধ্ব্নি।


সৈয়দ মামুনূর রশীদ