বারবার চাই তার রক্তস্নান।  
অয়ি বসুন্ধরে,
এতো পাপ তোর!
আপনার ঢাকিতে লজ্জা
করেছিস নিষ্পাপে কব্জা!
পশুমুন্ড,  নরমুন্ড
একসাথে যায় গড়াগড়ি।
রক্তমেখে নৃত্য করে
যত পশুদল।
রাক্ষসী কালী তুই
চারিদিকে শুধু হলাহল।
রক্ত মেখে নৃত্য তোর
বুভূক্ষা রমনী!
তোরে আমি মা বলিব,
কেমিনে ভাবিলি?
আয় বৈষ্ণবী বেশে
আয় সন্যাসীর রূপে
দেখ কত সুধা লুটাব।  
জ্ঞান,  কবিত্ব,  চেতনা
সব তোরে দিবো।
আয় জননী হয়ে
মাতা বলে মাথায় রাখিব।
তোর লোল জিহ্বা দেখে
বল কেনে আমি ডড়িবো?
রক্ত চাই রক্ত চাই বলে
হয় দিশাহারা, ওরা কারা?
ওরা কি অনুচর তোর?
খুঁজিছে হয়ে জ্ঞানহারা।
এতো যদি চাই তোর
এতো যদি ক্ষুধা!
জয়সিংহ রাজপুতের -
এই নে সুধা।।
তবু তুই তৃপ্ত হ তৃপ্ত হ।
অয়ি বসুন্ধরে-
রাজরক্ত মাখি, চোখ মেলে দেখিস-
আলোর মাঝে পাস কিনা এ অন্ধরে।
বিদায় জননী মোর
তোর পদতলে,
আরবার আসি যদি
রাখিস ও যুগল কোকনদে।