আমি অপেক্ষা করি,
কখন শব্দরা ঝাঁক বেঁধে আসবে।
কখন তারা এসে আমায় নাড়িয়ে চাড়িয়ে
নিজেই সেজেগুজে বেরিয়ে আসবে।
এই অপেক্ষাই করি মনে মনে।
সেই ছুটে আসা শব্দের সাথে কি
প্রতিযোগিতা হয়?
মাঝে মাঝে বাক্য যুদ্ধ হয়ে যায় অহেতুক।
একজনের মত আরেক জনের সাথে
না মিললেই বেশ একটা যুদ্ধ হয়ে যায়।
নিজের মত অন্যের মাঝে পরিচালিত
করতেই ব্যস্ত সবাই।
কিন্তু কবিতা স্বাধীণ।
সে শুধু ঝরনার রিনে রিনে শব্দের মতই-
কারো ভালো না লাগলেও কবির কলম
দিয়ে বেরিয়ে তার মনের কথা বলিয়ে
উধাও হবে।
ব্যাবসায়িক কবির কথা আলাদা।
তবে কবি কখনো ব্যবসায়িক হয় না।
কবি, কবিই।
একজন কবি সারাজীবনই কবি থাকবেন
তা সবসময় হয়না।
সবাই কি জীবনানন্দের মত
জীবন আনন্দে উন্মাদ হতে পারে?
কেউ কেউ শুধু কয়েক মুহূর্তের জন্যও
কবিত্ব প্রাপ্ত করে।
যে মুহূর্তে, ঈশ্বর তাঁকে নির্মল শব্দ স্রোতে ভাসান
শুধু সেই মুহূর্ত।
কেউ কেউ সেই নির্মল শব্দ ছন্দের আনন্দে
সারা জীবন অতিবাহিত করেন।
তিনিই আজীবন ঈশ্বরের মানস পুত্র কবি।
কবিতা সকল কিছুর উর্ধ্বে।
সকল হিংসা, দেষের উর্ধ্বে।
সমস্ত সমাজ সংসারের উর্ধ্বে গিয়ে কবি চিত্ত
নির্মল আনন্দ লাভ করে।
যখন সে লেখে তখন এই সমস্ত ধরা সমস্ত আকাশ
একাকার হয়ে যায়
ঈশ্বরের তন্ময় পুত্র মানস নয়নে তাঁরই পবিত্র ছোঁয়া পায়।
হে কবি, হে কবিত্ব!
তুমি চিরকাল নির্মল থাকো, সুন্দর থাকো।
জগতের কদাচার অন্তত তোমায় স্পর্শ না করুক।
অবশ্য তোমায় স্পর্শ করা সহজ নয়।
কোন কদাচার কোন অপবিত্রের ক্ষমতা নেই,
তোমায় স্পর্শ করার।
যুগে যুগে তুমি ব্যপ্ত, বিশাল, অমর, পবিত্র।
এই জগতের সমস্ত কিছু বিনাশ হলেও ঈশ্বর
আবার নতুন ছন্দ সৃষ্টি করবেন।
তোমার পবিত্রতা দ্বিগবিদক জয় করুক।
জয় হোক তোমার।