তোমার চোখের দিকে তাকিয়েছিলেম একবার
হে ললনা!
কি আছে ও চোখে তাই আজো ভাবি।
যে চোখে তাকালে ভুলে যাই -
পৃথিবীর গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতের বেদনা
যে চোখে তাকালে ডুবে যাই, তলিয়ে যাই
অতলে।
সেই কৈশোরের উচ্ছ্বসিত তরঙ্গীনী
সেই একবার তাকিয়েছিলেম ও চোখে।
কি স্বচ্ছ কি নির্মল কি নিদারুণ!
বুনো হরিনী, বুনো পদ্ম যেন।
কৈশোর পেরিয়ে নব যৌবনে নিলে বিদায়,
হে বিধু!
জানালার ধারে বসে চোখ বুজে আজো ভাবি,
তব নয়ন ভুলানো নয়নের কথা।
মরমে মরি, যেন তীর মারে কে!
হৃদয় করে জ্বালা।
সেদিন আবার দেখলুম ও চোখে -
সেই স্বলজ্জ প্রস্ফুটিতা গোলাপটি
আর পেলুম না।
সেই নয়নের কটাক্ষটি যেন নেই আর।
হে ললনে!
সেই মৃদু মন্দ সুঘ্রাণ বাতাসটি কই গো তোমার!
কে করে হরন তব আপন মহিমা?
কৈশোরের দৃপ্ত চলা কই তব!
কোন রাবনে হরিল হে বালা
চঞ্চলা হরিনীর সেই পথ চলা।
যে নয়ন হেরি লেখি এতো লেখা!
কোথা সে নয়ন তব হে বালিকা?
কোন সাত সমুদ্র হতে কে আসি
হরিলো তোমার হাসি?
কার আছে এতবড় হৃদয়ের জোর
বিধাতার নবীন সৃজনে করে কালিমা লেপন?
কোন অপ্রমিকেরে পেলে তুমি সাথি!
কে হরিলো তব নয়নের জ্যোতি!
ধিক! ধিক! ধিক তারে
ধিক্কারি আমি সেই পুরুষেরে।
যে পারেনা ফুটাতে ফুল,
ফোটা ফুলে কেন করে কণ্টক ভঞ্জন?
হাসি যদি না ফুটাতে পার, আসিও না
আসিও এ পদ্মপুষ্পবোনে।
তব কদাকার হস্তে করো না মলিন এ উদ্যান।
দূরে রহ দূরে রহ
হেথা সব বিধাতার পুন্য পুষ্পাদ্যান।
তোমার চোখের দিকে তাকিয়েছিলেম একবার
হে ললনা!
ফিরে চাই আরবার
এ সাহস আজ আর নাই হে আমার।