১।
পরিচিত স্টেশনে কতো অপরিচিত মানুষের ভিড়
জীবনটা বোধহয় এমনি
যন্ত্রণাতে দগ্ধ হতে হতে
ঠিকই একদিন মৃত্যুর দরজাতে পৌঁছাতে হয়
নেমে আসে অবসাদের ছায়া
ক্রমেই অন্ধকার
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহ মুছে ফেলে বর্ষা
এরপর শরৎ আসে,হেমন্ত আসে
বসন্ত আসে জীবনের জানালায়
প্রেমের মতো পূর্ণতা আর কিছুতেই নেই
প্রবঙ্চিত জীবনের আর্তনাদ আমি বাঁচতে চাই
কেউ সে সময়ে ঘুমপাড়ানি গান করে
আবার কেউ নতুন দিনের উদ্বোধনী গান করে
অভিমানে বসে থাকে বিপন্ন বেহুলা!
সন্ধ্যা নামতেই প্রতিদিন পাখিদের কোলাহল
ক্রমেই নিষ্প্রভ হয়ে যায় মন্দির বেদীর লেখাগুলো

২।

সেই নক্ষত্র এখনো ঠিক তেমনি
জন্মের পর হতে যখন বুঝতে শিখেছি
তখন ও যেমন দেখেছিলাম ঠিক তেমনি
প্রভাতের সূর্যের অপেক্ষায় কতো শীতের সকাল!
প্রেয়সীর আলিঙ্গনের কল্প নাতে বিভোর কতো রাত!
ভালবাসার চেয়ে নিঃসঙ্গতা ডেকেছে বহুবার
ফিরে আসি তোমাদের ভিড়ে ক্লান্ত পাখিদের মতো
বলেছি,আমার ঘর আছে,ঘরে ফিরবার তাড়া আছে
ভালবাসার চেয়ে ঘৃণার বোধকে ভালবেসেছি যত্নে
সমুদ্রে চলা নৌকা-জাহাজ দেখে ভেবেছি পার হওয়াটা বোধ হয় জীবন!
সমান্তরালে চলা পাখিদের দেখে ভেবেছি এইতো জীবন!
যৌবনের শেষ আছে,তেমনি জীবনের,দিনের শেষে রাত্রি

৩।প্রথম বসন্ত বাতাস ছুঁয়েছিল হৃদয়
এরপর বিচ্ছেদ এলো,দুমড়ে মুচড়ে দিল হৃদয়
অতৃপ্ত মিলনের আশায় বেঁধেছিলাম বুক
পাখির ডানাতে ভর করে আবার বেঁধেছি ঘর
আবার আসলো ঝড়! তবুও আমি নির্বিকার দাঁড়িয়ে
সেই আগের মতোই।

শেষ বিকালের নরম হাওয়ায় একদিন আমি উদাস হয়েছিলাম
শেষ চুম্বনের দৃশ্য এখনো মনে পড়ে
দুঃখ বিলাসী রাতে অস্পষ্ট কান্না জড়িয়েছিল
আয়নার প্রতিবিম্বে নিজেকে চরম হতাশাগ্রস্ত মনে হয়েছে
তোমার শোকগাথা বুকে নিয়ে আরো কয়েক বসন্ত!