বোঝা হয়ে ছিলো!
কারো কারো আঙ্গুলে; আংটি মানায় না।
এক ছিলো ছাদনাতলার যুগ; সেই থেকে চকচকে–
আংটিটা হাতে পরে আছি।
চকচকে জীবনের; রঙ জ্বলে ফিকে হলো–
চকচকে মিঠেরোদ, তমসায় মরে যেয়ে হলো কালঘুম।
কিছু কিছু অসময় থাকে; কাউকেই কিছুতেই বাঁধে না।
একদিন মরা মুখ;
মুছে দিতে
বাঁধেনি আমার।
মনে আছে; সেই কবে দিকে দিকে একদিন
রটেছিলো–
জীবনের সুতো নাকি একসাথে বাঁধা?
আমাদের; হলো না গো একসাথে বাঁচা;
একসাথে মরাটাও–
হলো না।
আমাদের একরঙা সাদা-কালো ছবি,
তাতে কেউ ফুল দিয়ে
কাঁদবে যে–
হলো না তেমন।
আজ সেই মরণের আঙটিটা বেচে,
তবু কিছু; চাল হলো ডাল হলো–
পাখি হয়ে, দানাগুলো একসাথে খাওয়া হলো না।
বেশ হলো; এই হাতে রইলো না আর কোনো বোঝা!
পাথর বুকের বোঝা, কি এমন বেশি আর বলো!
২২/০৮/২০২২