কি এমন সংস্কৃতির দায়! গুনীদের চুপেচাপে বসবাস
কারো কারো মাথা থাকে না? যার যার মাথা থাকে
চোখ থাকে অন্য মাথায়; থাকে তো থাকুক চোখ
হৃদয় বা কেন!
হৃদয় বদলে কেনো থ্যাবরানো কাদা?
পেটের বেলায়, শুধু একে খেলে অন্যের পেট ভরে না।
নারকেল মালাই মাথা,
প্যাঁচপেঁচে গোবরে ঘিলু, ক্যাঁতকেতে
প্যাঁক-কাদা হার্টগুলো বয়ে নিয়ে অনেকেই-
নাইতে নেমেছেন।
কারো প্রসংশায় যখন কেউ পঞ্চমুখ হন, তখন আমরাও একসাথে বাহ্ বাহ্ করি।
হয়তোবা কেউ বললেন বিপরীত ,
বললেন পাতে দেয়া যায় না, আমরাও একযোগে
বললাম তাই, পাতে দেয়া যায় কই,
এ-কি পাতে দেয়া যায়?
কারো ভাই- কারো বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বা পরিজন
শখের বশে কি স্নেহে বললেন বেশ বেশ,
সাথে সাথে আমরাও বললাম বেশ বেশ।
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং চললো,
আমরা বললাম বেশ বেশ।
কর্পোরেট সেল চললো
আমরা বললাম বেশ বেশ।
নির্গুণ গুণী হোক
আমরা বলবো বেশ বেশ।
গুণীজন গড়াগড়ি খাক
আমরা বলবো বেশ বেশ। কখন এবং কেনো
বেশ বেশ বলছি, ভুলেও বলবো না।
এই না বলায় কোনই অনুশোচনা থাকতে নেই,
উত্তাপ থাকতে নেই।
বোবার শত্রু নেই।
আহাম্মকের জাত নেই।
ভালো আর ভালোলাগা হামেশাই গিলে ফেলি আমরা।
গুণীর লাঠিয়াল থাকে না, চামচা থাকে না। যাদের
গুন নেই, গুনকে তারাই আগুন মনে করেন।
গুনের আগুনে দেন না ঘি-ও।
পেছনে পড়ার ভয়ে,
না-হলে ইর্ষায়। মুলতঃ
কেউই পেছনে পড়ে না। মুলতঃ
সবাই শেষের দিকেই এগোয় ক্রমশঃ। আসলেই
সব গুন সকলের থাকে না। তবু কিছু কিছু গুন
সকলেরই থাকে, ভালোবাসা এমন গুনের নাম।
নিরবতার নামে -
আচাভুয়া মার্কেটিং ,
লোকেদের সযত্নে সাজানো জগতে;
চটকে ফোকাস দিয়েই চোখ ধাঁধায়। ততোক্ষনে-
আলোগুলো নিভে যায় অবেলায়।
১৯/০৩/২০২২