যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো রাজপুত্তুর,
গল্পের সেখান থেকে শুরু।
হাজার হাজার ক্রোশ দূরে,
ঈশান কোণে, অতল জলের তালপাকানো
পুকুরগুলো ছিলো।
সোনার কলসগুলো ডুবে ছিলো, গল্পের
বিষাক্ত পুকুরে পুকুরে।
আলো করে স্বর্ণকলসগুলো, ফড়িঙেরা ছিলো।
ফড়িঙেরা বুকে করে রেখেছিলো, রাক্ষসের প্রাণ।
আয়না বলল,
"এক নিশ্বাসে ডুব দিয়ে যদি, ওই
অতগুলো কলস তুলে,
অতগুলো ফড়িঙ মারতে পারো,
তবেই রাক্ষস মরে।
তবেই রাজকন্যার, মুক্তি।"
"রাজপুত্তুর, কী বীরত্ব দেখাতে নেবে,
অতগুলো ফড়িং এর প্রাণ ?
আমার সাথে, কি এমন আজন্ম শত্রুতা তোমার?
যে কন্যার হাসিতে মুক্ত ঝড়ে, কাঁদলে বৃষ্টি নামে।
আমার কি পেতে নেই তাকে?"
রাজপুত্র বলল, "পংখিরাজ, বন্ধু, তুমি কোথায়?"
বাতাস কেটে কেটে পংখিরাজ আসে।
সেদিনের পর থেকে রাজকন্যা কাঁদে না আর,
পাথর হয়েছে।
কি রাজকুমারের, কি রাক্ষসের জীবন
হয়েছে সমান মরুভূমি।
"কে তোমায় বলেছে শুনি,
রাক্ষস কখনো রাজকন্যা পেতে পারে না।
কে তোমায় বলেছে রাজকন্যা
রাক্ষস রাজার, রানী, হতে পারে না।
গল্পটা তুমিই বলো বলে,
তোমার গাঁথায় আমাকে রাক্ষস সাজালে !
আয়নাকে জিজ্ঞেস করে দেখো,
দু'জনেই মুগ্ধতায় সমান আমরা।
সমানে সমান বীর।"
গল্পের রাজকন্যা পংখীরাজের হোক,
পংখীরাজের পিঠ থেকে নামা মাত্রই
কন্যা, বন্দী হবে।
"নামলে পংখীরাজের পিঠ থেকে
আমরা, প্রতিযোগী প্রেমিকেরা,
তাকে বন্দী করে নেবো,
হয় আমি, রাক্ষসপুরীতে,
নয় তুমি, রাজপুরীতে,
যখন পাখির জন্য খাঁচা উভয়ত একই।
যখন সকলেই ডানা ভাঙে.....
তুমি যদি রাম নও, তবে আমায়
রাবণ বললে কেন ?"
২৭/০১/২০২২