"খুব ভালোবাসি তোমায়", বলেছিলাম।
সময় এমনই ছিলো, ছিলো নজর–ভালো-বাসবার মতো।
সুকোমল প্রেমটুকু কাউকে না কাউকে তো
দিতেই হতো–সুকুমার প্রিতী উপহারে ।
"তোমাকেই ছুঁতে চাই”, বলেছিলাম।
মানসিক-শারীরিক রাসায়ন–
কাউকে-না-কাউকে তো ছুঁতেই হতো।
তোমার জন্য যুদ্ধে নেমেছিলাম।
তোমার জন্য প্রকৃতি– রাগ, অনুরাগ,
বিরাগ, বিরোধ, বিবাগ–
মন, হৃদয়, বিবেক ও দেহ; জিততে চেয়েছিলাম।
বলেছিলাম,"এবার বসন্তে
আমাদের বাসন্তী মেলা...।" বলেছিলাম,
"তোমায় নিয়ে বাঁধা সংসারে, তুমি-আমি দু'জন নই,
এসো মিলেমিশে একজোট, একজন হই।"
এ সকল আবশ্যিক ছিলো।
কোন একদিন সীমান্ত ছাড়াবো আমি, ছেড়ে যাবো
গোধূলির পার–
অমন সীমান্তে আমাকে যে পৌঁছতেই হবে!
এ-ও অতি আবশ্যিক বটে ।
আড়ালে থাকো কিংবা দূরে; বদলাবে না কিচ্ছু।
জীবন হলো: কাড়া আকাড়া ভিক্ষার চাল আমদানি।
ভিক্ষার ধান চাল–
বাছার সময়, অবকাশ কোনটাই ছিলো না আমার।
ঘুম থেকে উঠে অন্নের খোঁজে– দেহারণ্যের
সন্ধানে দুপুর রাতে, আমাকেও ফিরতেই হয়–
একদিন নিয়ম বলেই,
"আমাকে" পোড়াতে হবে।
পোড়া মুখ পুড়েছে তো কবেই...
মুখপোড়া মরেনি!
সকলেই মরা মুখ,
সকলেই পোড়া মুখ, ঠেলে দেয়। সকলেই
ঠেলে দেয় বলে, তোমাকেও ঠেলে দিতে হবে? তবে–
"সাদা শাড়ি লালপেড়ে", তুমি আর "সাদা থান" হবে কবে!
১০/০৪/২০২২