আজকাল, কেউ আর ফেরেনা ঘরে।
মাঝ পুকুরের পরে,
চলে যাওয়া, ফিরে আসায় কিইবা তফাৎ?
কত রকম শেকড় থাকে!
পুরোনো শেকড় ছেঁড়ার অবসরে,
গজায় নতুন শেকড় হঠাৎ।
আফ্রোদিতি, তুমিই কি জানতে,
এই তুমি, আর আমায় চিনেও চিনবে না,
অথবা আমাদের বলে কোন শব্দ, থাকবে না!
জেনো হেপাইসটাস কুশলেই আছে,
ভাল আছে ,
তবু মাঝে মাঝে নিরর্থক দুঃখ বিলাসে ভাসে।
মিছেই বলেছিল কেউ,
এসো সবচেয়ে অপছন্দের মানুষটাকেও
দু’দশটা ভাল কথা বলি।
এরপর, কিন্তু বলে
কিছুটা মন্দ যোগ না করে, থামি।
এ অতি অকাজের নীতি, বড়ই বেমানান,
মানুষের এ এক চিরন্তন কাকস্নান,
কখনোই যা ছিল না বাস্তব।
জানোতো কারও অবদান
তখনই মানুষ মনে রাখে ,
যখন কেউ তাকে দেয় সম্মান, ভালবাসে।
অন্যথায় যুগ যুগ দ্বন্দ্বযুদ্ধ চলতে থাকে,
চলতেই থাকে।
তুমি কি চাঁদ স’দাগর,
বাঁহাতে ফুল দিয়ে কর মনসা বন্দনা !
কোন প্রেম এভাবে হয় না।
অথবা হয়তো তুমি আদোতেই আমার ছিলেনা,
অতএব রসের গোল্লা, অন্যের!
হাড়ীতে তো চিহ্ন দেওয়া যায়,
চিহ্ন কি দিয়ে দেব রসের গোলায়?
তাহলে বিচার সই, রইল কথাটা ওই ,
অযথা অন্যের পাত্রে রসের গোল্লা রাখবো না,
আগে হোক পাত্র কেনা,
রাতদুপুরে আমার পংক্তিরাই কাঁদুক নাহয়
আমি কাঁদবো না।
০২/০১/২০২২