বেনিয়া নয়, সন্ন্যাসী, বনিকের নিতে নেই সন্ন্যাস।
ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বার, আলাদা আলাদা স্তুতি, গীত হয়।
সন্ন্যাসী দাতা, বলবেন, কি করে বিপদে স্থীর,
অসম্ভব অস্হীর সময়ে ধৈর্য্য,
সম্ভোগে নয়, দূর্ভিক্ষেও, কি করে কুম্ভক করা যায়,
কিভাবে আত্মা পাবে, মরণশীল পৃথিবীর ইতিহাসে
অমরত্বের আস্বাদ; তিনি তা জানেন।

বেনিয়া জানাতে পারেন; কোন পণ্যটির কতো দাম,
কোন পার্থিব সমৃদ্ধি কতো দামী,
সম্ভোগ জীবনে ধন না থাকলে, কোন কোন ক্ষতি ।
তিনি; তুল্য ওজনের তুলাযন্ত্র কিনতে, জানেন।
কোন কৌশলে আমরা বেনিয়া হবো; শিখতে আসুন
তার কাছে, সঠিক বেনিয়া হতে ।

সঠিক সন্ন্যাস কোন রোগ নয়, ঠিকঠাক সন্ন্যাসী ত্যাগী,
বেনিয়া তো মল ছাড়া, ত্যাগ করতে শেখেনি কিছুই।
সন্ন্যাসী দাতাকে, যদি ভালো নাও লাগে, ছেড়ে আসুন
অপব্যাখ্যার জগত, সন্ন্যাসীকে বেনিয়া না বলি,
আসুন, না কুড়াই মহাপাপ।

আজ যার রাজ বণিতার পাঠ, তার কাছে বরং যাবো,
সে সাধনায় যদি হয় দেবত্ব খারিজ; হতে দিন।
তবু তো মন সে রাঙায়, বিনিময়ে বিনিয়োগ করে রূপ।
সেই রাজনর্তকীর কাছে যাবো, জানতেও পারেনি যে
রূপের বানিজ্য শেষে,
কখন তার আপন হয়েছে; শিল্পকলা।
চটকে সাজপোশাক, মোহিনী রূপের জন্য; নয়,
তার কাছে যাবো ষোল কলা শিখতেই।

ঠিকঠাক সন্ন্যাসী-টা হতে হলে, কি-কি নাকি করতে হয়  
আমি জানি নাতো অতো-সতো।
কখনো আসক্ত প্যাচানো বাঁধন, একটু আলগা হলে,
বেনিয়ার মাঝে ভর করে সন্ন্যাস; পূণ্যস্নানে,
আমি তা জেনেছি, জেনেছি পূর্বজ সন্ন্যাসীর কল্যানে।

আপনি কি জেনেছেন সন্ন্যাস দর্শন, পেয়েছেন কি
অমরত্বের আস্বাদ; মোহের বিরুদ্ধে জিতে?
তবে আজ কৃপা করে করুন আশীর্বাদ,
নতুন ভিক্ষুক দ্বারে, কোন ত্যাগে সন্ন্যাস?
২৭/০২/২০২২