তবে এসো, বিস্তৃত ভূসর্গে বসে,
ঋষি আদিষ্ট ধ্যানে করি আত্মানুসন্ধান, কিছুক্ষণ।
প্রাণ রুপ পুরুষের অধ্যাপনায়, মনিষী সাহচর্যে,
চোখের সামনে, দেখি যদি ভেসে ওঠে পূর্বাপর!
ওই যে দেখ কৃষকায় শান্ত পরিব্রাজক, সন্ন্যাসী,
চেহারায় যায়না বোঝা বৃদ্ধ কি তরুণ,
তার দৃঢ় বিভুতিমাখা রক্তাভ দেহ,
সূর্যের তাপে যেন ঝলসে গেছে,
সন্ন্যাসী সে, ঋষি, ফেরেনা গৃহে !

বলয়ে তার আত্মতৃপ্তির অনুভব,
আমাদের বিষাদচূড়ায় কেবলই মেঘের ভেলা।
কী এমন রহস্যভেদ সে জানে?
কি এমন পথের সন্ধানে,
সন্ন্যাসী আত্মানুসন্ধানে নামে?
এই নশ্বর দেহের বিনিময়ে,
যদি হয় মিলনের লক্ষ্যভেদ,
পরম সে আত্মায়,
তবে তাই হোক,
তবে এইক্ষণে সন্ন্যাসী হবো।

কুশলে কি অন্তর, দেহমন, আত্মা অকৈতব?
অমৃতের তনয়, অনুমতি পেলে ,
এইক্ষণে সেই সংবাদ অন্বেষণে,
অর্থগৃধু বনিক, মিথ্যা পুরহিত, নির্লজ্জ জ্ঞানী
আর স্বার্থপর সেবকদের ছেড়ে,
চিরতরুণ সন্ন্যাসীর অনুগামী হবো।
যদি সে সাধনায় দেবত্ব নাও পায়,
যদি সে নির্বিঘ্নে,
মগ্ন নাও হতে পারে অমৃতের প্রার্থনায়,
তবু, সে যদি একাগ্রতায় করে অনুসন্ধান,
অনন্ত অমৃতের,
আজ এই মহেন্দ্রক্ষণ হতে,
বন্ধু, সাথী, ভৃত্য অথবা দেহরক্ষী হয়ে,
আমি, এইক্ষণে, সন্ন্যাসী হবো।

৷৷০১/০১/২০২২।।