জলরাশির অতল বুকে ভাসছি কেবল।
লোকালয়ের বাতিগুলো যেন জোনাকি পোকা,
ওরা কি ছড়ায় উত্তাপ ?
এখন উত্তাপ আর আলোর সাথে সখ্যতা প্রয়োজন।
এ আয়োজন শীতের ইলসেগুড়ি মাথায় নিয়ে
অতলে ভাসার।
মাথা রেখে প্রকৃতির কোলে প্রশান্তির আশ্বাসে।
জীবনের আস্বাদ নোনাজলে মিঠে করে নিতে।
ক্লান্ত কি কবি ?
চোখ আর মন বলছে দুরকম ।
আপাতত বাদাবনের মুগ্ধতায় মগ্ন কবি,
রাতের স্নিগ্ধ নিস্তব্ধতা সাথী করে জলে ভাসে।
ভেসে চলা অনন্ত আনন্দের মাঝে কবি হাসে।
নদীর ঘোলা জল বেয়ে সাগরের নোনাজলে
রাতের আঁধার ভেদ করে, নিশীথ গহ্বরে।
সাঁতরায় যে জাহাজ
কবি তার যাত্রাসঙ্গী আজ।
নিস্তব্ধতায় যেমন শোনা যায় প্রতিটি হৃদস্পন্দন,
নদীরও তেমনই স্পন্দন আছে ।
অনুভবে আমি তার নাড়ী ছেড়া ধন।
কয়েক পশলা বৃষ্টির পর,
ইষৎ শীতল আমেজ বাতাসে ওড়ে,
আহা কতকাল বুকভরা জোটেনি বাতাস।
যে বাতাস নির্মল,
যে বাতাস প্রশান্তির শ্বাস,
তার মাঝে কিছুটা সময় স্বর্গীয় জীবনের স্বাদ।
এখানে ফেরার তারণা নেই,
ঠিকানা খোঁজার প্রেরণা নেই,
এখানে জীবন বয়ে চলা নদী।
সাজানো ডেক ছেড়ে ,পরিপাটি ছোট্ট ঘরে, এলাম।
জানালাকে ফাঁকি দিয়ে, স্হির আলোগুলো দুরে সরে।
লোকালয় থেকে দুরে, বয়ে চলা আলাদা জীবন ।
এমন একটা নদীর প্রেমে,
কেটে গেলে অনেক জীবন, বেশ হতো।
এই সব ভাললাগা প্রশান্তির মৃত্যুর মতো।