।। বিরূপাক্ষ স্রোতে কুশলী রন্ধন।।

মোহ মানে রাজা-প্রজা সহৃদয় মেলা-মেশা;
মায়াবী সাধুর সুগন্ধি মিশ্রন। মিলনের উপযোগী,
নন্দিত পরী- স্বস্তির বাসা হোক মিলন বাসরে।
অন্ন মিলন-মেলায়; আপন আবেগী ক্ষুধা-
পূর্ণ তৃপ্তিতে ভাসুক, স্বাস্থ্যের জয় হোক।

রান্না তো আর্ট, কুশলতা প্রিয় কুটির-শিল্প এক;
মোহিনীর নিপুণ কারুকাজ  মোহময়ী মায়াময়।
প্রিয় ফল কদাকার নয়, যেন-তেন নয়।
নন্দিত তুমি নাও যদি হও ; নিন্দিত নও। নও
বিদ্রুপ, তাচ্ছিল্য নও, নও বাজে কোনো বিস্ময়।
এমন মিশ্রণ উপাদেয় হোক,
প্রিয় হোক, হোক সহৃদয়।

সকলেরই শেফ, না হলেও চলবে খোঁয়াড়,
নেই কোন জজ  জরুরী এ রান্নাঘরে। মাখো-মাখো
রান্নার মায়বি বিদ্যাটি তবু; সকলেরই জানা থাক!
একজোড়া মায়াবতী হাত-
ছুঁয়ে থাক সোনালী কলম।

নিপুণ শিল্পকলায়-অতি প্রিয় শুভ নাম; রন্ধন। যে
কুশলী যুবকের যতো আছে রকমারী রান্নার গুন,
সে যুবক যুবক ততোই। প্রেমও জটিল নয়। জুটুক
বন্ধন কুশলী বিদ্যায়; গুন গুনগুন করে,
ঘ্রাণ মৌ মৌ করে, হাঁটু গেঁড়ে জেতা যায়
প্রিয় চুম্বন; পারা যায় হতে কোনো অধিক যুবক,
যাদুমাখা এমন কুশলী প্রেমে।

ধামা ধরা রাঁধুনির আসার আশায় অযথাই বসে
বসে; কেনইবা ঝিমোবেন? তার চেয়ে চুপচাপ
চানাচুর খান অথবা যুবক আজ কুশলী হয়েই উঠুক...
আজ এই বিরূপাক্ষ স্রোতে না হয় শিল্পী হয়েই উঠুন
দয়া করে,
দয়া করে-ছিদ্র নয়, বিদ্বেষ নয়, অপমান নয়,
খুঁজুঁন শিল্পকলা ।

১৩/০৩/২০২২