বাড়ি যাচ্ছি..., বাড়ি!
আমি যখন চলতি পথে থাকি, পথও করে আড়ি।
বৃষ্টি থাকে, মিছিল থাকে, জটলা থাকে, ঝড়ও...
না-হয় গায়ে জোর থাকে না আমার, জ্বরও... ,
না-হয় বুকে দম থাকে না, কম থাকে...
পথও বলে বাড়ির পথটা কঠিন করো আরো,  
দাও বিছিয়ে আরো কঠিন পাথর...
শাস্তি হলে, শোধ হবে যে পাপ!
নিজেই নিজের কাঙাল অভিশাপ; ওই খেয়ে ও মরুক।
এত্ত কেন ফেরার দেরী ওর?
ও-ইখানে তোর মা থাকে রে
ওইখানে তোর বাপের বাহুডোর! মনেই থাকে না?

বাড়ি যাচ্ছি... বাড়ি।
কন্ঠে যাদের বাড়ি ফেরার নিত্য আহাজারি; এদের মধ্যে
যাদের আবার পেট থাকে,
বাড়ির পাশে গরম ভাতের আড়ত থাকে না,
যাদের আবার শেকড় গেছে ভূমির অনেক নিচে ,
উপড়ে নিলে কেবল মরে যায়,
সেই বাবুরা আমার মতো মরো!
বাড়ি চেনো? বাড়ি?
ঘর চেনো কি? ঘর?
শেকড় চেনো?
যাদের  কেবল ভাত কামিয়ে ভাতার পোষার দায়!
তারাই কেবল আমার মতোন পরের, বাড়ি যায়!

এখন আমার মা ভালো নেই,
তিনি আছেন মরার মতো বেঁচে, আছেন বলেই
একটু বাড়ি আজো আছে বেঁচে।
যখন আমার থাকবে না আর 'মা',
কিম্বা যদি হাঁসের আগেই মরে হাঁসের ছা...
তখন আমার এমন বাড়ি যাবার, প্রশ্ন আসে না।
তখন এমন ঝক্কি মাথায় বাড়ির পথে, পা বাড়াবো না,
তখন এমন তুচ্ছ কাদামাটি, আদর করে গা মাখাবো না !
তখন জানার দায় রবে না কারো,
কেন, এই এতকাল এ পথ  হাঁটিনি?
কেন এই কোটি কাল পরেও, দেখিনি সুখ চোখে?
ছাড়িনি হাঁক, সুখ ভরা বাঁক কাঁধে, হইনি ফেরিওয়ালা।

আমার মতোন মানুষ, কে, রাখতে পারে বেঁধে?
কেইবা বাঁধে? তাই, ফিরছি বাড়ি, ফিরছি বাড়ি !
০৪/০২/২০২২