বালিহাঁস নেমেছিলো।
কেউ কেউ পেয়ে গেলো মাংসের ঘ্রাণ।

কারো কারো হাতে হ্যান্ডবিল, প্লাকার্ডও এলো।
বিলবোর্ডে
ছেয়ে গেল রোমান নগরী!
কোথাও মার্কসবাদী; লেলিনের সমাবেশে
নাগরিক সচেতন হলো-
সাম্যবাদ,
উগ্রবাদ,
পুঁজিবাদ, পুঁজি করে
শোক শোক প্রস্তাব ধেয়ে এলো- দক্ষীণি মেরুর
বুকে শীতল প্রস্তাব নিয়ে গাছেরা
হাজিরা দিতে গেলো-
ইল মাছেরাও- উড়ে গেলো ডানায় ডানায়।

কিভাবে, কতো পথ পাড়ি দিয়ে আসে বালিহাঁস;
দেখবেন বলে-
দেখতে দেখতে; বালিহাঁস হয়ে
বৈদেশী হলেন, শত শত দেশী দেশী পাখি।

জলাশয় একদিন পুঁতিগন্ধময় সরু নালা হয়ে গেলো।
মহাশয় গিলিলেন; নর্দামা।
অভয়ারণ্য উজাড় করে পক্ষীর-নিবাস হলো,
খোলা হলো-
বিলাসীর মায়াবী রেষ্ট-হাউজ। শত শত
দর্শনার্থী প্রেমিক, অবলা পরিযায়ী, ব্যবসায়ী সাধুর
প্রেমে পড়ে, কিছু কিছু বালিহাঁস যমপুরী গেলো!
কপালিয়া কিছু পাখি প্রাণ নিয়ে, ফের-
ফিরে গেলো আলাস্কায়!

পলাতক বালিহাঁস, জানো কি তুমি -
অভুক্ত প্লেটগুলো- সুস্বাদু, ডাক রোষ্টের অপেক্ষায়
পথ চেয়ে আছে বহুদিন! আবার নতুন শীতে
মৌসুমী পরিযায়ী তুষারে,
নতুন নতুন বালিহাঁস রোষ্ট হবে- তুমি এসো।
আবার বারবিকিউ জমে হবে ক্ষীর!

২৭/০৩/২০২২