তবুও কিছু গল্প থাকে, বালিহাঁসের পায়েও শেকল !
আকাশ খোলা,হঠাৎ মনে হল,
আকাশ কোন ঠিকানা কি পারে দিতে,
নীড়ের খোঁজে বালিহাঁস ধরনীতে,
মন্দের ভাল শেকল খোলেনি সে নুপুর ভেবেছে।
এর চেয়ে ঢের ভালো আমাদের প্রাণের শহর!
এখানে আমরা সকলেই পাপী, সকলেরই নিচুজাত,
সকলেই অচ্ছুৎ, এখানে অচ্ছুৎ অনাত্মীয়ের গলাগলি।
আমাদের চোখেমুখে লেপ্টে আছে অধরা সুখ।
পাইনি বললে পায়নি কেউই, নেই বললে কারও নেই,
শবযাত্রায় সকলেই হাটি, একছন্দে!
এখানে তেষ্টা আছে, আছে ক্লান্ত ধুলোর বাতাস মৃদুমন্দ।
কেউ জানেনা নিহারিকা,তোমার বুকে নষ্ট মদের গন্ধ।
কি আর দেবে তুমি,
আর মেটেনা তেষ্টা আমার, তোমার অধর চুমি।
চলেই না হয় যাই নাগরী, চলেই না হয় যাই,
আমার থেকে ঢের ভালোকে নিত্য বেছে নাও!
তবু এখানে কারও হৃদয় ভাঙার কারন নেই,
এখানে কারও স্বপ্ন দেখতে বারণ নেই,
তবু অনেকের ভয় জীবনে কিছুই অকারন নয়,
কেবল কারনগুলো নিখোঁজ প্রায়শঃই।
তবু লিখে যেতে থাক সময়,
একটি বটগাছের আত্মকাহিনী,
চারাগাছ একদিন মহীরুহ হবে।
এ শহর ছেড়ে চলে যাব নদী ও নারীর খোঁজে
জানতাম এক নদী বেয়ে আরেক নদীর কাছে
ঠিক পৌছে যাওয়া যায়,
কোন নারী কি পারে অন্য নারীর কাছে পৌছে দিতে?
গভীরতার গল্প, বয়ে চলার গল্প,
পিচ্ছিলতা পঙ্কিলতার গল্পে
কোথাও স্থির হওয়া মানে মৃত্যু বলা নেই,
ধৈর্য ধর নদী শুনব তোমার গল্প।
আমি একটু নারীর বুকে ডুব দিয়ে পূর্ন হয়ে আসি।
যেখানে রেখেছি জমা বালিহাঁস প্রেম।