পারিজাত প্রেম তুমি নির্জনতা।
সাথী তোমার নিঃসঙ্গ প্রেমিকের মন,
মনের অগোচরে ষড়ঋতু, বসন্তে নিয়েছে প্রাণ কেড়ে।
মানুষেরা অবিকল তার মত দুটি হাত দুটি পা হুবহু ,
মনের মতোন এক অবয়বহীন অঙ্গের পার্থক্য শুধু ,
অন্যেরা নিঃসঙ্গ মানুষ কেবল,
কেউ তারা হয়নি প্রেমিক । ও বেলায়
কেউই নেয়নি কেড়ে এমন সময়,
জীবনের আনন্দ যজ্ঞের নিমন্ত্রণে
দেয়নি উপহার নীল খামে।
মোড়কের শোভা বিমোহিত করে, চোখ ধাঁধানো মুগ্ধতায়,
খুলে দেখি এক ঝাঁক পায়রা, বিচিত্র রং, সাদা নয়,
মিশ্র, স্মৃতিময়।
চাঁদনী রাতের বিমোহিত পৃথিবীর মতো,
তাকিয়ে, সুদর্শনের দৃষ্টি নিয়ে
কখনোবা চাতকের মত, অপেক্ষায়,
মনের গভীর আকুতি শুনি কান পেতে।
অন্য কুহরে বাজে ব্যথার ডঙ্কা তখন,
প্রেমিকের কথাগুলি শোনায় অমূলক বক্তৃতার মতোন ।
পচে যাওয়া ডিমের কুসুমের মত স্মৃতি,
কুঁড়ে খায় বলে,
বলে বলে হালকা হবার এ প্রয়াস।
জঘণ্য রাতেরা,
একাকী দাঁড়ানো দেবদারু,
মগডালে অসাবধানি চড়ুই কথা শোনে,
শোনে অবচেতনের নতুন প্রভাত।
ইদানিং স্মৃতির হাওয়া বেলা কি অবেলায় দোলায়,
কখনো রোমাঞ্চ এলে ফাগুনে হাওয়া স্পর্শ করে,
কোন কোন দুঃখে মন
লজ্জাবতীর মতোন নেতিয়ে যায়,
প্রেমিকের মন রাত জাগে একা ।
সবকিছু এলোমেলো হয়ে এলে
স্মৃতির পাতায় বেদনা তখন ভাসে।
সুমধুর পৃথিবী ধূসর বর্ণমালার মতোন
প্রাচীনতম হায়ারোগ্লিফিক্সে লেখা পদ্য মনে হতে থাকে।
সহস্র বছর লাগে পাঠক জন্মাতে।
কষ্টের স্লোগানে মনে হয় পৃথিবীর সবটুকু সত্যি
মরুভূমিতে অমর ভাস্কর্য হয়ে আছে,
মিথ্যা ও অসুন্দরের মাঝেই ফোটাতে চাই মোহিনী
সৌন্দর্য আর ভালো লাগা ।
তুমি ভালোবাসো না, নির্মম এমন সত্যকে,
নির্মম না কে, মনে মনে পাল্টে দিতে ভালো লাগে।
মিছেমিছি মনে করি পেয়ে গেছি সব,
অফুরন্ত ভালোবাসা,
এ রকম অনুভূতি ভালো লাগে।
স্মৃতির মিনার হয়ে মাথা তুলে এ সকল অনুভুতি,
হৃদয়ে, বেঁচে থাক চিরকাল।
সাথী হয়ে স্মৃতি কোষের, অনন্ত সঙ্গিনী তুমি হও,
এমনটা চাই না আমিও।
প্রদীপের জ্বলন্ত শিখার সামনে বসে
কখনও বা জানালায় চোখ রেখে ভাবি,
তোমার কি মনে আছে আমাদের কথা
ভাবো কি নির্জনে আমারই মতোন।
ভাবনাগুলো তোমাকেও কাঁদায় কি এমন?
মন আজ তারে বলে দিও ভালোবাসো, তুমি।
পর কোন মানুষের ভালোবাসা, পর প্রেমিকের হাত
পাবে না ছুঁতেও, এমন একটা কিছু হোক।
ততদূর পৌঁছুতে পারবে কি আমার কৃষ্ণচূড়া?
মনে কি পড়ে, গোধূলি সন্ধ্যা,
বিকালগুলো, বৈকালী আবেগ,
আবেশের ভাগাভাগি?
কখনো চোখ চেয়ে কেটে যেতো সোনালী বিকাল,
প্রশংসায় পঞ্চমুখ, এড়াতো না তিলটুকুও,
সব শেষে বলতাম, সুন্দর ।
হাসির আদ্যোপান্ত মুখরিত সন্ধ্যায়
পুরোপুরি ভালো লাগা নিয়ে ফিরতাম আমার গুহায়,
সুন্দর সে সকল রাত।
সেকি রাত্রির সৌন্দর্য নাকি তোমার রূপ চুরি করে
সুন্দরী রাত্রিরা মোহনীয় হতো।
মনে পড়ে, বেতের চেয়ারে বসে,
কাটানো সময়, কতই না সুন্দর ছিলো।
কালো তোমার চুলের ভাঁজে সোনালী রোদ্দুর,
কপালের সবটুকু জুড়ে বিকেলের রুপালি ঝিলিক,
রূপসী নয়ন দিয়ে তুমি দেখো সুন্দর।
চোখে চশমার পুরু কাঁচ বিধাতা তোমায়
ভালোবেসেই দিয়েছিলেন উপহার।
চোখ ধাঁধানো, তোমার সুবর্ণ আলোকচ্ছটায়
সৌন্দর্যের পাহাড়ও কেমন তুচ্ছ মনে হতো।
রূপে-গুণে মহীয়সী তুমি
আমি অদৃশ্য অন্ধকারের কিট,
তবুও তোমার পদধূলি গায়ে মাখার বদল
আমার চুম্বন চিহ্ন ঠোঁটে এঁকে নিয়ে আমারই থাকো,
এমনটাই বলতে চেয়েছিলাম।
তুমি তা দিলে না হতে।