এসব যে আমার’ই নিজস্ব শূন্যতা;
বহুব্রীহির পথ পারিয়ে আমি যে এসে গেছি বহুদূর –
নিঃসঙ্গতা আড়াল করে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিয়েছি চার দেয়ালের মাঝে !
তোমাদের প্রশ্ন ছিলো;
রক্তিম ত্রিকোণে যখন পূর্বাশার খেলা হয় তখন কোথায় ছিলে তুমি ?
আমি বলবো আমি জানি না !
হয়ত আমার চার দেয়ালের ফ্রেমে বন্দি নিস্তব্ধতাকে কালো আলোয় বুনতে শিখেছি-
অন্ধকার যে মিথ্যা শিখায় না শুধু সত্য'তে ভাসতে বাধা দেয়;
আমি যে আমার নিঃসঙ্গতাকে ভালোবেসে ফেলেছি , সঙ্গমে কাতর অন্তর যখন –
প্রিয়তমেষুর চুলের বন্য গন্ধ নিতে চেয়েছে, তখন বুকে চেপে নিঃসঙ্গতাকে আদর করতে শিখেছি ।
আমি যে হারিয়েছি, সত্যি বলছি আমি বার বার হারিয়েছি আমার ছোট ছোট স্বপ্ন নামক নিঃসঙ্গতার মাঝে –
ভূমিষ্ঠ নির্জন এ শহরের রাস্তার কান্না যখন থেমে গেছে –
আমি তখন আমার নিঃসঙ্গতার হাত ধরে খালি পায়ে হেটেছি ।
তোমারা বলবে এ সকল আমার অভিনয়-
কতটুকুই বা চিনেছো আমায় ? আর কতটুকুই বা চেনাতে পেরেছি নিজেকে?
আর লিখতে ইচ্ছে করছে না, ইদানিং এমন হয় !
মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ কখন যে কোন দিকে প্রবাহিত করে কিছু’ই বুঝে উঠতে পারি না-
আমিও যে চাই নিঃসঙ্গতা গুলো তোমাদের দিয়ে কোন সবুজ মাঠের ঘাসে হাটতে –
যেখানে কাম নিজেকে কুবরে কুবরে খাবে না; শুভ্র সাদা কাশফুলের মাঝে মিশিয়ে দিবো অপবিত্র এই দেহ;
আমিও জানি,
সূর্যোদয়ের পথে পাখি হয়ত উড়ে যাবে সমুদ্র সঙ্গমের আশায়;
কিন্ত এবেলা কি হবে! নিস্তব্ধাতায় ঘেরা আমার চার দেয়াল আমার প্রশ্নের উত্তর খুজে পায় না ;
সে তো বিজন বনের একলা চাঁদ হয়ে থাকতে চায় ,
হয়ত বৃষ্টি হবে- হয়ত সবুজ মাঠে ঘাস জন্ম নিবে –
হয়ত আমি আমার নিঃসঙ্গতা গুলোকে ছুড়ে ফেলে কোন তপ্ত দুপুরে প্রিয়তমেষুর হাত ধরে অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির মাঝে আবার ভিজবো ?
আমি জানি এ গল্পের শেষ হবে ।।