ভালোবাসা,
তুমি বসে থেকে
আমার সর্বনাশ দেখো,
যদি একদিন ভালোবেসে থাকো।
আমার দুই হাতে আগুন রেখে
নীরবে খনন করে গেছো
মারিয়ানা ট্রেন্স!
এতো গভীর ক্ষত,
এরচেয়ে বড় দমন
পৃথিবীতে নেই!

আমাকে যেমন রেখে গেছো,
কিছুদিন সুখীমুখ মানুষের দলে,
ফাঁটা ঠোঁটে সেলফির হাসি!
পৃথিবীতে এতো সুপ্রভাত আসে যায়,
আমি তোমার সুপ্রভাত ভালোবাসি,
তোমার রেখে যাওয়া
আধখাওয়া কফিতে বাঁচি!
দোহাই হে আগুন,
দু'হাতে যে উত্তাপ আঁকড়ে অসহায় আছি,
বিচ্ছেদ বপন করোনা
পায়ে পায়ে,
মন পোড়া গন্ধে রাখো!

পৃথিবীর পায়ে পড়ে
তোমার জন্য শব্দ ভিক্ষা করে এনেছি,
ঠোঁটে পড়ে ফেলে
কবিতা আউড়েছি, তাই সমন!
এখন আমার একলা কবিতার বেলা!
আমার কবিতা চুরি হয়ে গেছে,
কোনকালে, যাক!
স্রোতের উৎসমূলে তুমি,
তোমাকে সংকল্প করে
যারা লেখে, যারা ভেসে যায়,
যাক, বেঁচে থাক!

তোমার কোমড় আঁকড়ে
ভেবেছি সেতার তুলেছি হাতে
প্রতি সন্ধ্যা বেলা!
তুমুল বাজিয়ে গেছি, আহা!
চড়াই উৎরাই না বুঝে
ঘর ফেরা পাখিদের সাথে
আকাশছাড়া, ছন্নছাড়া হয়ে গেছি,
তোমার সুর সেধে,
আমি তুমিগামী হয়ে গেছি!

কোন সহজ আলোকে দৃশ্যমান নও,
তুমি তো ছবির মতো!
সাদা দেয়াল ছিড়ে
তোমাকে তুলে আনতে হয়।
তুমি অপসারণের ছায়া,
বাতাসের পরমানু বিভাজনে
তোমাকে আবিষ্কার করেছি।
এতো সামান্য কিছু নিয়ে
সমান্তরাল মহাজগতের
আমি এক সামন্ত রাজা!
তুমিময় ভুল আঁকড়ে থাকা
আমার অরাজকতা!
নির্জনতা খুঁজে নিতে যা চাই,
তোমার আঁচলে লেখা আছে তা-ই!
পড়ে নিতে সময় লাগেনা-
রাজকাজে তোমার যা নির্দেশ!