একটা ছোট্ট সড়ক
কতোটুকু দিতে পারে?
জং ধরা নীল গেটে
আনাড়ি হাতে লেখা,
একশো বিশের বি-
এমন বিশেষ কি!

এই ঠিকানায় চিঠি আসতো ঠিক,
সরকারি বা বেদরকারি চিরকুট!
মাঝেমাঝে নির্জনতা ছিঁড়ে
ফোন বাজতো ক্রিং‌ ক্রিং ক্রিং!
আট এক এক সাত ছয় তিন চার...
সঠিক নয়?
তোমার হাতে ঘোরানো ভুল নাম্বার?

এই ফ্লাটে তিন ঘর,
দরোজা খুললে বসার ঘর,
বারোমাস মশারির ভেতর
চৌকিতে উন্মুক্ত বুক আমি
বাকি দুই ঘর শোবার।
আর ভেন্টিলেটরে
পড়শী চড়ুই-
কিচিরমিচির সারাদিন,
রেকি করে যেতো ঘরময়,
দোলনা বাঁধা বারান্দায়।
এরপর হালকা পায়ে তুমি
কোন কোন শুক্রবার,
ছুটির ছুঁতোয় আসতে,
তোমার এলো খোঁপা,
আনাড়ি তোমার শাড়ি পড়া
আঁচল উড়িয়ে দেখিয়ে যেতে
নাভির ফাঁদ!
বিজয় স্মরনীতে চৌরাস্তায়,
ইউক্যালিপ্টাস গন্ধে
হঠাৎ সন্ধ্যা নেমে যেতো!

শোক নেমে এলো-
যে খাটে ঘুমোতাম,
মা মরে পড়ে ছিলো একদিন!
ইউক্যালিপ্টাস ঘ্রান
সেই থেকে শোকের সমান!
আমার শোক,
নাড়ি ও নারীর লোভ,
অথবা অনর্থ ভালোবাসায়-
আমাকে ফিরতেই হয়,
তিন খোপের সেই বাসায়,
আমাদের মন পোড়া
একশো বিশের বি,
মনিপুরী পাড়ায়!