ভোর নিজে সুপ্রভাত চেনে কিনা,
জানিনা।
আমি প্রতি ভোরে জানালা খুলে
সুপ্রভাতের প্রতীক্ষা করি,
প্রতি কফিকাপে তোমার মিষ্টতা চাই,
আমি কোন রোদ উপেক্ষা করতে পারিনা।
মনে হয় ব্যাস্ত রাস্তার ওপারে,
শাড়ি সামলাতে সামলাতে
সংবরন করছো ছটফটে পা,
চাতক চোখ!
তোমার চিকন হাতের ঘড়িতে
বরাদ্দ সময় বড় ক্ষীন!
তোমার ঠোঁটের পাশে
কুঁচো হীরে ঘাম!
শেষ বিকেলের মায়ামাখো আলো
তোমার গালে মানানসই লেগে যেতো!
এইসব ফিরে দেখা যেতো!-
এই পথে বাঁধা নীড়,
এই শুক্লপক্ষে শ্রেষ্ঠ সময়ের টানে,
বারবার ধুলো-ঘাম মেখে
দৌড়ে আসা যেতো!
তোমাকে বেদনায় রেখে তিষ্ঠাতে পারিনা,
ইচ্ছে-অনিচ্ছেয় দেরি হচ্ছে তবু।
নড়োনা এক পা,
আজো চাই ঐ ফ্রেমে স্থির থাকো।

কথা বলোনি, প্রশ্ন করোনি।
তোমার হাত কাঁপেনি একটুও,
টুপ করে হাত রেখেছো হাতে,
যেন কথা ছিলো!
এতটুকু প্রশ্রয়ে
পৃথিবীর সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা যায়!
ইচ্ছে হয় লাল সিগন্যাল ভেঙে
হিরহির টেনে আনি এই পারে!
এইপারে সন্ধ্যাগুলো বিষন্ন নয়,
এই পারে চন্দ্রিমায়,
সোডিয়াম আলো চাঁদের বিকল্প হয়!
এইপারে ঘামের গন্ধ সুগন্ধি হয়,
চাওয়া-পাওয়ার
প্রতিটা মুহুর্তের সুবন্দোবস্ত হয়!
ঝড়ের পূর্বাভাস ছিলোনা,
মানেনি হৃদয়!
এমন সফল সন্ধ্যাবেলা
পৃথিবীতে আর আসেনি!
পুলিশের বাঁশি যেন নিষেধ নয়,
মোহন বাঁশির মতো সুমধুর হয়ে বেজেছিলো!
হাত ধরে পালাতে পালাতে
পালাতে চেয়েছি জন্মের মতো!
তোমাকে ছুঁয়ে যে সত্যিটা বলেছি সেদিন,
এমন সত্যি কখনো কাউকে বলিনি!

স্বপ্ন গোনা যায়না বলে
আমি রোজ রাত্রে
থরে থরে বালিশ সাজিয়ে রাখি।
আমার কবিতার খাতা,
সুপ্ত বাসনা,
আমার ঘুম,
তুমি গুম করে রাখো।
তবুও ভুলে ছায়া ফেলে যাও,
নিউরনে ছাপানো গন্ধে
তোমার অবয়ব দাঁড় করানো বায়না!
তুমি চাইলেইতো নক্ষত্রের ভিড়,
তোমার চোখভর জোনাকির আলো!
আমি অন্ধকার সমান কালো,
আমাকে দেখতে পাওনা।
আমি কি নিভে গেছি একদম?
আমি অহস্য মিথ্যে হয়ে গেলাম!
আয়নায় নিয়মের শুভদৃষ্টি নয়,
কালোরাত্রিতে দেখা হওয়ার ভয় নয়!
তবুও কতো সহজ অগ্রাহ্য করো,
সহজ চোখ ফেলে দেখতে চাওনা!