তোমার কাছে কদম চেয়েছিলাম,
আর কয়েক খন্ড জলজ মেঘ।
তুমি বললে, " বড্ড বেশি বেশি চাও!"
এমন বেশি আঁকড়ে থাকা,
'না' অমান্য করে বসে থাকা,
তোমার নিরিখে অসহ্য হয় সব!
নাছোড়বান্দা আমি,
যা চাই, সমস্ত বাতাবরণ সহ চাই।
বৃষ্টি হলে ভিজবোই,
আঁকা বাঁকা চুলের নদী বেয়ে,
নীল ভেজা শাড়ির আঁচল চুঁইয়ে,
তুমি ধোয়া, গোপন ছোঁয়া জল!
সে সুগন্ধ জলে অলিখিত অধিকার,
ঐ জলে
ভালোবাসা জন্মাবে আবার!
ঐ জলে আমি চায়ে ভেজা
বিস্কুটের মতো গলে যাবো,
তোমার পায়ের নিচে
কাদামাটি হয়ে মিশে যাবো।

আজন্ম তোমার ধ্যান,
ভগবান গলে যায়!
আমাকে অদেখা করে
ঈশ্বর অমান্য করো!
এছাড়া আর কোন জায়গা নেই আমার
এছাড়া উপেক্ষা করার তোমারও কিছু নেই!
সীমিত বাক্সে বেঁচে থাকা, বড় ভঙ্গুর!
বেলুনে নিঃশ্বাস নেই,
ফুসফুস পৃথিবীর কোন বাতাস নেয়না,
দৃষ্টিসীমা তোমার অধিক হয়না!
বরাদ্দ জমিটুকু পায়ে দলে
ভূমিহীন কৃষক করো আবার,
লাঙলের ফলা বোধহীন,
উদাসীন কাঙালপনায় মরে যাই!

তুমি বলেছিলে, "অন্য কিছু বলো,
বর্ষা ছাড়া আর কোন কাল নেই!"
ছিলো তো সাদা কাশ,
নীলাকাশ শরৎ!
হেমন্তে পাতা ঝরায় তোমার গান,
বসন্তে বৈশাখ বুঝি, তোমার উৎসব!
লাল পাড় সাদা শাড়ি,  
লাল টিপ ঝুমকার বৈভব!
তোমাকে যুঝতে যাওয়া ভুল,
বোঝেনি পলাশ-শিমুল,
তাড়াহুড়া কৃষ্ণচূড়া, আমের বকুল!
এরপর ছুটিতে যাবে বলে
দুই হাতে ছড়ালে গ্রীষ্মের উত্তাপ,
উপচে পড়া উচ্ছাস, ঘাম!
একহাত আগুন, জমিয়ে রাখি তাই,
তোমার অগোচর!
শীত এলে জমে যদি যাই,
কুয়াশায় আবছা হও যদি!

অভিশাপ দেই,  
সুখী হও তুমি শেষে।
আমার আক্ষেপ-অভিযোগছাড়া,
শুন্য কাটুক তোমার এই পোড়া দেশে!
লাল টিপ জ্বলজ্বলে তারকার বেশে-
আমাকে ভোলার দোষে,
অবিরাম পোড়াক তোমাকে!
যদি ভুলক্রমে বেঁচে যাই এই অশুভ কালে,
আমাকে পোড়ানো সুখ
তোমার যেন না জোটে কপালে!