বাতাসে দারুচিনি-লবঙ্গ-এলাচ আহ্বান
বাতাসে তোমার ভাজা মসলার ঘ্রাণ!
বাতাসে উড়িয়ে নেবার মহাবিপদ সংকেত,
বাতাসে পুড়িয়ে দেবার বারুদ বর্তমান!
বাতাসে সংঘর্ষে আজীবন
তোমার-আমার অভিমান!
এমন পৃথিবী চাই একটা,
নিশ্চুপ চারিপাশে
আর কিছু শোনার নেই।
তোমার মতো একটাই নদী চাই
খরস্রোতা তুমি, এতোই জলজ,
ভেসে যেতে,
আর কি জল চাই!
এই পৃথিবীর সব এতো তুমিময়,
তোমার বাতাবরনে চলাচল মসৃণ হয়।
যেখানে হাত দেই, যেদিকে তাকাই,
তোমার গড়া ঘরদোর,
তোমার ঘোর,
এ ছাড়া সব ছন্নছাড়া,
এ ছাড়া বিস্বাদ সব পরাধীন জিহ্বায়!
তোমার কানের ঝুমকা, তোমার নুপুর,
তোমার দোলনা!
এমন ছন্দময় দুলে যাওয়া
এমন ঝাঁকুনি পৃথিবীর!-
না বলা কথা ও শব্দের ঝড়
বড্ড বাজে বুকের খাঁজে!
একা বুঝি সামাল দিতে পারো,
রদ হয়না সৃষ্টির সবকিছু!
তোমার খেলা দেখে ভগবান হাসে,
তোমার হাতে কারচুপি যত!
চোখের ছুরি হলে
আমার দমনে
কিছুই লাগেনা আর!
এসেছো যখন নিয়ম মেনে,
চলে যাওয়া ঠিক ভাবছো এখন!
বুকের আগল ভুলেও রেখোনা খুলে,
বাতাস বইবে অনুকূলে
বাতাস আমাকে ঠেলে ঠিক তোমার দিকে নেবে,
থেকে যেতে ইচ্ছে হবে আবার,
ইচ্ছে হবে কাছে রেখে বলি,
আর যেওনা,
থেকে যাওয়া সমীচিন!
আমাদের পৃথিবীর পথে
চিরদিন কৃষ্ণচূড়া ফোটে,
আমাদের পাখিদের ঠোঁটে
অবিরাম গান জোটে!
এমন একটা রাত দিও তাই
তোমার ঘুমঘোরে বেঁচে থেকে
পেছনে গোপনে এক পূর্ণ চাঁদ রাতে
যদিও সাম্রাজ্য পুড়ে যায়,
আমার বাঁশির শোক
কেবলই চাঁদ ডুবে গেলে,
শুস্ক পৃথিবীর হাওয়ায় উড়ে যায়!
বৃষ্টি দিও কিছু তাই শেষরাতে,
ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে একরাত ঘুম,
তারপর শোকহীন মরে যাই, দেবে?