অথচ একসময় এই ক্যালেন্ডারের
প্রতিটা দিনকে ভালোবাসতাম,
তোমার সাথে দেখা হওয়া
তিনশো পঁয়ষট্টি দিন!
দেখা না হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু ছিলো,
এমনকি গ্রহ-নক্ষত্রের দেখা হয়!
তোমার-আমার নিয়ম করে
ভেসে যাওয়া স্রোত,
পায়ে পায়ে হেঁটে বেড়ানোর কক্ষপথ,
সব প্রিয়,
প্রিয় ঐ সূর্য
যাকে প্রনাম করে
এক আলোকে র্বাঁচার প্রতীজ্ঞা।
সূর্যটা ডুবে গেলে অন্ধকার প্রিয় হতো,
তোমার অবয়ব হাঁতড়ে
প্রিয় সেই প্রতীক্ষা,
তুমি সুগন্ধি বাতাস হয়ে
বয়ে যেতে ভোরবেলা,
এমন শিশির ভেজা সুপ্রভাত,
সারাবছর!
একদিন পাখিরা ঠোঁটে ঠোঁটে
প্রতিশ্রুতি নিয়ে উড়ে যেতো।
একদিন, তোমার-আমার সত্য যুগে,
যা কিছু ভাবা যেতো
নিমেশে সত্যি হয়ে যেতো!
তোমার চোখে তাকিয়ে বলতাম, 'চাই!'
অমনি স্বর্গ পেতাম হাতে!
অথচ এখন, আকাশ আঁকা মনে হয়,
মাথার ওপর আস্ত আকাশ ভেঙে পড়ে,
মনে হয় তোমার ধারার বৃষ্টি,
ঠিক তুমি নও!
মনে হয়, তুমি ঠিক সত্যি নও!
মিথ্যা কতটা, তাও জানিনা,
জানতে চাইনা।
এই ঘোর কলিযুগে
একমাত্র সত্যি কি জানো?
আবারো সত্য যুগের ধ্যানে
একটা মানুষ একরোখা,
শুভ্রতা খোঁজে,
চোখ বুজে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে।