তুমি কিছু কিছু কথা রেখেছো
কিছু রাখোনি
না রেখে ভালোই করেছো
ছেড়ে যেতে প্রাণপণ করেছো
আমিও প্রাণপণ,
না পাওয়ার সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
নাহলে আমার পেতো না।

অনেক কিছু হাত পেতে চেয়েছি,
আবার কতো চাওয়া
প্রকাশ পর্যন্ত করিনি-
আমার চোখ চেয়ে বুঝে নিয়েছো,
পূরন করেছো,
কোন কোনটা করোনি,
কিছু চাওয়া জন্মের তরে তুলে রেখেছো।

অধিকার চেয়েছিলাম,
এক বৃষ্টি ভেজা বিকেলের
দাওনি,
ভালোই করেছো।
সেই থেকে আমি, বিকেল আর বৃষ্টির বনিবনা
রিক্সায় হুড নামিয়ে
আমরা তোমার প্রতীক্ষা করি
তোমার জন্য প্রতীক্ষাটাও মন্দ না!

আমার বুকের মাপ নিয়েছো কতোবার!
জামার বুকে তোমার হাতের কাজ,
শেষ করোনি।
ভালোই করেছো,
আমার চওড়া বুকের ছাতি
তোমার সরু হাতের আড়ালে এটে
আমার কথা মনে করিয়ে দেয়।

মায়ের পুরনো শ্যাওলা রঙা শাড়িটায়
তুমি জানো তোমাকে কেমন লাগে,
তবু তুমি নিশ্চুপ থাকো।
থাকো নিশ্চুপ,
তোমার জোর জোড়া ঠোঁটের
অনুচ্চারিত শব্দ সকল
আমি সম্মতি মেনে নেই।

মনে মনে চাইতাম
তুমি চোখে কাজল পড়ো,
পড়োনি,
ভালোই করেছো
কিছু আকাঙ্ক্ষা হয়তো অপ্রাসঙ্গিক,
তবুও বাঁচিয়ে রাখা ঠিক
তোমার চোখের যে গভীর অন্ধকার
লুকিয়ে রাখতে কাজল কী দরকার!

এমন অনেক রাত গেছে
আকাশ চাঁদের কাছে জোৎস্না চেয়ে
ফিরে গেছে মুখভার!
কোন অরুনিমা আর
মেঘমুক্ত দিনের প্রতীক্ষা করেনা,
তোমার আমার দেখা যদি হয়,
বৃষ্টি বারোমাস!
অথবা কোন মমতাপল্লী
মমতা প্রার্থনা করেনা,
একবার ছুঁয়ে গেছো তাই
মনে রাখে!

সারারাত ঝরে গেছো টুপটাপ
শিশিরের সাথে,
আমার উঠোন জোড়া শেফালীর শোক!
উঠোনের বুক চিরে, শেফালী মাড়িয়ে
পথ বয়ে যাবে, আদিগন্ত হবে!
একা পথিক পেয়ে পথের অবহেলা
আমার গা সওয়া হয়ে গেছে!

তুমিই গন্তব্য,
আমার রোগ,
আর কোন শোক আমাকে না ছোঁয়না।
তাই ভালো, তাই হোক!
আমাকে অগ্রাহ্য করো,
ঘেঁটে কাঁদা করে রাঠো
নদী হয়ো না!
কীর্তনখোলা শহরের
সব সহানুভূতি জড়ো করে
আমার বিদায় জানাতে ঘাটে!
আমি একবার না বলবো,
হ্যাঁ, আমি না বলবো
জোড় গলায়!
আমি বিদায় নেবো না!
তোমার শুন্যস্থান নিয়ে
অপূর্ণ আমি ভালো আছি।