প্রতিবার এইমাত্র কথা শেষে,
এইমাত্র রেখে যাওয়া ওমে,
কিছুক্ষন থম মেরে থাকি,
মস্তিষ্কের অলস আরাম!
তোমার ঘোর কাটাতে না কাটাতে
মুঠোবন্দী মুঠোফোন কেঁপে ওঠে আবার,
"শুনেছো, কি দেখেছি এইমাএ,
বসন্ত পৃথিবীতে এসেগেছে আগেভাগে!"
অথবা
"তোমার ওখানে খালি চোখে দেখা যাবে অরোরা,
আজ রাত্রে!"
এই বলে ফোন রেখে দাও টুপ করে।
অথচ তোমার এতকাছে বসন্ত বলেছিলো,
ছুঁয়ে দ্যাখোনি!
বাসন্তী শাড়ি পরোনি এইবার,
গাঁদা ফুলের সাজে সাজোনি,
আকাশে দ্যাখোনি একবার!
আমি তখনো তোমার রেখে যাওয়া ঘোরে,
দেখছি মাঠে ড্যাফোডিল ফুটে গ্যাছে,
ক্ষনজন্মা, আমারই প্রতিভু,
কি আনন্দে দুলছে বাতাসে!
আমার চোখে তখনো কিন্তু পলাশের আগুন!
আকাশে শ্রেণিবদ্ধ মেঘ,
তোমার নিয়ন্ত্রিত আলো!
নিজেকে জড়ো করার আগেই,
এই আকাশের মগ্নতা ছিঁড়ে
বেরোতে না বেড়োতেই
তুমি ফোন রেখে দিয়েছো-
প্রতি সেকেন্ডে বিপ-
সময় ফুরায়,
আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে শুনি!
আমার শব্দগুলো ইটের ভাটায় পুড়ে
বাসন্তী রঙ ধরেছে!
ঐ ইটের গাঁথুনির কবিতাও
কতোবার পঠিত হয়েছে,
তুমি পড়োনি একবারও!
পড়লে পুড়ে যেতে
আমি যেমন পুড়ি!
সম্বিত ফিরে দেখি
জলের দাম বেড়েছে বিস্তর,
জলের মতো নেই আর!
এবার বসন্তে
আমাদের জলজ ভালোবাসার
বিশেষ ছাড়, কোন ছার!
অথচ শহরে রাস্তার গতিবেগ
তিরিশ থেকে কমিয়ে কুড়ি!
তুমি ফোন রেখে দিয়েছো
ওপারে নেটওয়ার্ক শুন্যতা
আর আমার গতিশূন্যতায়
বিস্তর জানানো হয়নি এবারো!
বলা হয়নি,
এ বসন্ত তোমাকে ছাড়া,
এ কুৎসিত রাতের অন্ধকারে অরোরা,
কোন মানে রাখেনা।