গন্তব্যে পৌছতে প্রয়োজন নেই স্বীকৃতির;
ইস্পিত লক্ষ‌্যে আমি স্বীকৃতিহীন আজীবন, চিরকাল।
সুতরাং 'দাড়াও' 'দাড়াও' -বলে দিয়োনা চিৎকার
আগলে রেখোনা পথ।
আমার প্রয়োজন আমাকে মেটাতে দাও
আমার লক্ষ‌্যে আমাকে পৌছতে দাও।

প্রহরী! হে প্রহরী! তুমি নীরব থাক,
গলায়োনা নাক আমার ইচ্ছার ধবধবে পায়রায়
নিয়তির যবনিকা শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে
আমারি খুনের বন্যায়।

এ'বার আমিই আমার দেবতা, আমার প্রহরী।
হিসেবের হালখাতা নিজেই লিখি কড়ায়,গন্ডায়
কোমল হৃদয়ে কিংবা পাথরের বুকে।

প্রহরী! -'রুখিয়োনা পথ মোর শক্তির ভঙিতে:
সব ডর, সব ভয় শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে
লাখ, হাজারো নিরীহ মৃত্যুর সঙিতে।

এ'বার নিজেই শক্তিধর, মৃত্যুর আজরাইল;
ঠোঁটি চেপে ধরার কৌশল করায়ত্ব,
লঙিতে জানি আমি অসম ভঙিতে লৌহ প্রাচীর।

প্রহরী! রক্ত চক্ষু দেখায়োনা ভাই
এখন এ'গুলো আমার খেলার মার্বেল।
ক্রিড়নক আমি, নেশায় এ খেলা এখন খুবই প্রিয়;
কেননা ঐ রক্ত চক্ষু আমারি রক্ত সঞ্চার।

প্রহরী!কন্ঠ বাড়ায়ে করোনা সুর
সে সুরে মোর কন্ঠ ভরপুর সেই কবে থেকে।
সুতরাং গলা বাজায়ে হবেনা কোন কাম,
আমার গলায় কবর দিয়েছি তোমার বাপ দাদা
চৌদ্দ সিড়ির নাম।

প্রহরী! ক্ষণিক্ষের ধমকি আমার অট্টহাসির খোরাক
সুতরাং ধমক চমকে কাজ হবেনা ভাই
এ গুলো এখন আমার থু থুর পিকদানি।

প্রহরী! আবারো বলছি রাস্তা ছাড়, সরে দাড়াও
সালাম টুকে দাড়িয়ে থাক মাটির পুতুল
আমার পরিচয়ে তোমার স্বাক্ষর অপ্রয়োজন।

ভূ-মন্ডলে আমি সর্বাধিক পরিচিত, জন্মেই পরিচয়,
ছাড়-পত্রহীন রক্তে মাংশে গড়া একটি জীবন্ত-'মানুষ'।