কবিতাগুলো আহত হল পাষন্ড বেঈমানদের হাতে
এমন কি নিহত হল জীবন সড়কে,
বিমূঢ় হয়ে কবিরা দেখলো কিন্তু করলোনা প্রতিবাদ!
কবিদের ডাইরী থেকে ছিড়ে নিল যুগান্তকারী কবিতাটি
দাড়িয়ে রইলো কবি করলোনা এতটুকু প্রতিবাদ কিংবা
কবিতাটিকে বাঁচাবার ন্যুনতম প্রচেষ্ঠা!
চোখ সন্মুখে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে কবিতাগুলোকে
বলাৎকার করে করলো লাঞ্চিত, জর্জরীত।
সতীত্ব হারিয়ে কবিতাগুলো টানলো জীবনের যবনিকা।
বিমূঢ় হয়ে কবিরা দেখলো কিন্তু করলোনা প্রতিবাদ।
নিষ্পেষনের আগুনে পুড়ে কবিতাগুলো ভস্ম হল
ছাইগুলো স্ফুলিঙ্গের মত কবিদের নাকে মুখে করলো আঘাৎ
তা'তেও কবিরা অনঢ় নিস্তব্ধ!
নিষ্পেষিত, লাঞ্চিত কবিতাগুলোর হাহাকার
বাঁচার কঠিন চিৎকার কবিদের কানে বাজলো
তবুও তারা অনঢ়, নিস্তব্ধ!
নিরক্ষর, গবেট মূর্খও কাঁদলো,
কাঁদলো লাঙল ছেড়ে চাষী,
তাত ছেড়ে তাঁতী
জাল ছেড়ে জেলে
কাজ ছেড়ে মজুর।
কবিতার চিৎকারে গোয়ালে বাধা গরুগুলোও কাঁদলো
কুকুরগুলোও ঘেউ ঘেউ করলো
মশা মাছি এমনকি পিপীলিকাগুলোও জড় হয়ে
করলো মৃত কবিতাগুলোর সৎকার
কিন্তু কবিরা রইলো অনঢ় অচল!
মাটিও ফাঁটে, পাথরও ভাঙে ওরা ভাঙলোনা
মাটিও গলে পাথরও গলে ওরা গল্লোনা।
এরা বৃষ্টিতে ভিজলোনা, রোদেও পুড়লোনা
ঝড়েও ভাঙলোনা, বন্যায়ও ভাসলোনা।
এরা যেমন অনঢ় ছিল অবিকল তেমনি রইলো
এক স্তুপ পাথরের মত অথচ পাথর নয়
এক স্তুপ মাটির মত অথচ মাটি নয়
এক সারি তরুর মত অথচ তরু নয়।