আমি যুগ যুগ ঘুরে বাংলার পথে হেটে,
খুজে বেড়াই কী আছে কোথায়।
আমি যাই যতদুর, অবাক দৃষ্টিতে রই,
এত অপরূপ ভূমি আছে আর কোথায়?
যেদেশে গ্রীষ্ম আসে,
সুখময় বসন্ত পেরিয়ে, চৈত্রের কাঠফাটা রোদে।
নির্জন দুপুর, খাঁ খাঁ রোদ্দুর, ফাঁকা রাস্তা।
যে দেশে গ্রীষ্ম আসে, আম, জাম, কাঁঠালে,
পাকা ফলে মধুর রসে,
বাহারি ফলের সমাহারে।
যেদেশে বর্ষা আসে, আশীর্বাদ হয়ে,
ধুয়ে নিয়ে যায় সব;
কোথায় কী আছে আবর্জনা?
দিয়ে যায় নব ভূমি,
রেখে যায় পানি।
যেদেশ বর্ষা আসে,
ঝিলে বিলে শাপলা, পদ্মা, কলমি নিয়ে।
ডাঙায় কদম, কেয়া, হিজল, গন্ধরাজের সুগন্ধিতে।
যে দেশে শরৎ আসে,
নীল আকাশে, কালো মেঘ তাড়িয়ে,
তুলো রূপ মেঘ মালা ভাসিয়ে।
মাঠে পাকা ফসলে,
প্রকৃতির কোমল, শান্ত-স্নিগ্ধ, উদারতায়।
শরৎ যেন আসে সব ঋতুকে হারিয়ে,
বৈচিত্র্যময় দৃশ্য নিয়ে।
যেদেশে হেমন্ত আসে, নবান্নের উৎসবে,
কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়ে।
শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে,
শিশিরে ভেজা প্রকৃতি গঠনে।
যেদেশে হেমন্ত আসে, ঋতু রানী বেশে,
নিজের সব রূপ প্রকৃতিতে ঢেলে।
যেদেশে শীত আসে, খেজুরের রসে,
পিঠাপুলির আনন্দে,
নতুন শস্য নিয়ে,
অতিথি পক্ষীর বাসস্থান হয়ে।
যেদেশে বসন্ত আসে,
মিঠা মিঠা বাতাসে,
কোকিলের ঢাকে,
নতুন ফুলে, নতুন পাতাতে,
প্রকৃতি গঠনে।
আসে বসন্ত ঋতুরাজ হয়ে।
যেদেশের যত পথ, যত হাটি, ততই অপরূপ।
যতদূর যাই— নব ভাষাতে,
আনন্দে উৎসবে কেটে যায় বেলা।
সেদেশই মোর জন্মভূমি, প্রিয় বাংলা।
যদি সুখ অবলোকনের থাকে ক্ষমতা ,
তাহলে কেউ যেতে চাইবেনা,
করে এই ভূমি উপেক্ষা।
যে ভূমির প্রতি পরতে পরতে,
সুখের বিছানা।
সেই ভূমিই হোক আমার সমাধিত স্থাপনা।