ক্ষত বিক্ষত, দেহ অনাবৃত
ওরা ধর্ষিত,
মৃত অর্ধমৃত কি জীবিত।
নর কি নারী, জোয়ান বা বৃদ্ধ
মুক্তি উন্মাদনায় উন্মত্ত
হত কিম্বা আহত
তুমি তাদেরই রক্তে স্নাত।
সেই সে সংকট, অসংগুপ্ত
তবুও আস্হা অবিচল, ছিলে তেজোদীপ্ত।
হে বাঙ্গলা মা,
তুমি তো স্বশাসিত,
তবুও কেন আজই
জীর্ণ দেহ বিষন্ন মন, মুমূর্ষতায় শয্যাগত?
তুমি কি,
মোদের কর্মে মর্মাহত?
নারে খোকা,
তুই বা তোদের মত যারা, কর্মে তোরা
তাদেরই মত, যাদের রক্তে আমি স্নাত।
আমিতো তোদেরই মা, মায়েরই মত।
আরাধ্য নন্দিতরা
আমারই মত হতচকিত নির্বাক,
যেন স্বদেশেই নির্বাসিত।
শিক্ষিত মূর্খের তোষামোদে,
নিন্দিত নন্দিতরা উল্লসিত
ঘুণের মত করে আমায়, করছে জর্জরিত।
শুন খোকা,
আমিতো ওদেরও মা
তবুও মা ডাক শুণতে বাধে!
মা ডেকে নিয়ত দিচ্ছে ধোকা।
জানিস খোকা,
ওরা মানুষ নয়,
মানুষরূপী সামাজিক কীট,
ওরাই উইপোকা।